মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুনে চারটি প্লাস্টিকে চেয়ার পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর চারটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত পাচুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালাবদ্ধ বারান্দায় রাখা প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন জ্বলতে দেখতে পান বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মাসুম মিয়া। এর পর তিনি পানি দিয়ে তা নিভিয়ে ফেলেন।
নৈশপ্রহরী মাসুম মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের এক তলা ভবনের অফিস কক্ষে রাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য পাশেই মসজিদে জান তিনি। স্কুলের কেচি গেটে তালাবদ্ধ করে। নামাজ শেষ করে স্কুলে এসে দেখতে পান বিদ্যালয়ের ভবনের ভেতরে ধোঁয়া। বারান্দায় গিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ারে আগুন জ্বলতে দেখেন। এর পর তিনি পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। আগুনে চারটি প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে। ধোঁয়ায় বিদ্যালয়ের দেয়াল কালচে হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তালাবদ্ধ থাকলেও বারান্দার লোহার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে কেউ আগুন লাগিয়ে থাকতে পারেন। পরে বিষয়টি তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী খান বলেন, আজ সকালে নৈশপ্রহরীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ে যান। তাঁর ধারণা, দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে থাকতে পারেন বলে জানান।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক আবদুল হামিদের সঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আগুনের বিষয়টি আমার জানা নেই।
পরে ঘিওর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস যোগাযোগ করলে স্টেশনের লিডার নূরুল আমিনও ওই বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
ঘিওর থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে সকালে তিনিসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) মারুফা নাজনীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয় ভবনটি তালাবদ্ধ ছিল। মশার কয়েল বা বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট অথবা অন্য কোনোভাবে আগুন লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রতিনিধি/ এজে