খুলনা জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন তিনি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার কিছু আগে মহাসমাবেশের মঞ্চে উপস্থিত হন তিনি। এ সময় দলটির লাখো নেতাকর্মী জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিজ্ঞাপন
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মহাসমাবেশ শুরু হয়। শুরু থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে গোটা খুলনায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকে খুলনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ সার্কিট হাউজ মাঠে জড়ো হন।
এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারে খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিকেল তিনটা ২০ মিনিটের দিকে সার্কিট হাউস মাঠে উপস্থিত হয়ে দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর যোগ দেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়।
বিজ্ঞাপন
সরকারপ্রধানের আগমনকে ঘিরে গোটা খুলনা মহানগরীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মহাসমাবেশকে ঘিরে পুরো নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। তোরণ, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরী। ইতোমধ্যে সার্কিট হাউজ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে বিশালাকৃতির মঞ্চ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরের ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যানজট যেন না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। নৌপথে নৌ-পুলিশ টহল দেবে। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে জনসভায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এমআর
