চট্টগ্রামে ১০ হাজার ইয়াবাসহ জাহেদুল আলম নামে আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) এক সদস্যকে সৌদিয়া পরিবহনের এক বাস থেকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশির সময় তাকে আটক করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জাহেদুল ইসলাম কক্সবাজার ১৬ টেকনাফ এপিবিএনের কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি এপিবিএন থেকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে তার বদলির আদেশ হয়। আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রাম রেঞ্জে যোগ দিতে কক্সবাজার থেকে আসার পথে চুনতি রেঞ্জ বন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করার সময় তার ব্যাগ থেকে ১০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে আটক করা হয়।
জাহেদুল আলমের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানায়। তিনি পূর্ব সাহেব নগর এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান।
তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করতেই ফোনের সংযোগ কেটে করে দেন লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম। এমনকি মঙ্গলবার রাতের ঘটনা হলেও বিষয়টি জানা নেই বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, কেউ কেউ আমাকে বলেছে। কিন্তু আমি তো বাইরে আছি, অবরোধের নিরাপত্তার ডিউটিতে আছি। এ বিষয়টা আমার নলেজে নাই। আমি বিষয়টা ঠিক জানি না।
সবশেষ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) দেবদূত মজুমদারের কাছে জাহেদুল ইসলামের যোগদানের বিযয়ে জানতে চাইলে তিনিও এ সম্পর্কে জানা নেই বলে জানান। বিযয়টি জানতে তিনি আরও’র সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের অভ্যন্তরে ব্যাপক আলোচনা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের একজন কর্মকর্তা। কক্সবাজার এপিবিএনেও এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে বলে জানান একাধিক কর্মকর্তা।
টিবি

