কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মোকবল হোসেনকে (মুকুল) হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) নুরন্নবীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল।
বিজ্ঞাপন
এর আগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ গেইটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে কিল-ঘুষি, লাথি ও ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার একটি ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়।

ঘটনার পর আহত ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুলকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল ঢাকা মেইলকে বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের ভেতরে জরুরি কাজে যাচ্ছিলাম। ওই সময় নুরুন্নবী আমার গতিরোধ করে কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মারে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যাচেষ্টা চালায়। একই সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযুক্ত নুরুন্নবী রাজি ফখরুলের (দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য) লোক বলেও দাবি করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরুন্নবীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দেবিদ্বারের সংসদ সদস্য রাজি ফকরুলের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর ঢাকা মেইলকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আহত চেয়ারম্যান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিনিধি/আইএইচ