কক্সবাজারের কৃষকেরা আখ চাষে খুঁজে পেয়েছেন সফলতার হাতছানি। আখ বিক্রি করে অধিক টাকা আয় হওয়ায় অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকেরা। চলতি বছর কক্সবাজারে আখ চাষ করা হয়েছে ১০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর আখ চাষ করা হয়েছিল ৮৫ হেক্টর জমিতে। ফলে দিনদিন কক্সবাজারে আখ চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী, রামু ও উখিয়ায় আখ চাষ করা হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে আখের ফলন হয় ৬০ -৭০ টন। ভালো জাতের আখ হলে ১০০ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। আখ বিক্রি করে ভালো টাকা আয় হওয়ায় কৃষকেরা এখন ধান ও অন্যান্য ফসলের পরিবর্তে আখ চাষের দিকে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
বিজ্ঞাপন

চাষিরা জানান, আখ চাষের উপযোগী বেলে দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি। ৪০ শতক জমিতে আখ চাষে খরচ হয় গড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ৪০ শতক জমিতে আখের সংখ্যা হয় গড়ে এক হাজার। খুচরা বাজারে বড় সাইজের লাল আখ ৭০-৮০ টাকা ও মাঝারি সাইজের আখ ৫০-৬০ টাকা ও ছোট সাইজের আখ ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
মহেশখালীর আখ চাষি মেহাম্মদ বাবুল বলেন, ধান চাষ করে লাভ করতে না পারায় আখ চাষ বেচে নিলাম। আখ চাষে কোনো ঝুঁকি নেই। আমি ৮০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। পাইকারি বিক্রেতারা মাঠে এসে আখ নিয়ে যান। গত সপ্তাহে ৫০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করেছি। আখ চাষে খরচও কম পড়ে।

বিজ্ঞাপন
চকরিয়ার আখ চাষি মো. কবির উদ্দিন জানান, আমি ৪০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। বাজারে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকায় আখ বিক্রি করতে পারবো।
কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন জানান, ফলন ভাল ও চাহিদা থাকায় আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। চলতি বছর কক্সবাজারে আখের চাষ হয়েছে ১০০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছর ছিল ৮৫ হেক্টর। আখ একটি অর্থকরী ফসল, যা শর্করা উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ জোগান দেয়। পাশাপাশি আখ গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
টিবি

