কার্তিকের শুরুতেই তাপমাত্রা কমে এসেছে। দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকলেও রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কম থাকছে। ভোর রাতে ও সকালে ১৯ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলেও দিনের বেলা ২২ থেকে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩১ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকছে। ফলে দিনে গরম থাকলেও রাতের শেষ ভাগে ও সকালে কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গ্রামের পথঘাট। রাত ও দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়ায় আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতেও কষ্ট হচ্ছে অনেকের। শীতের ধরনও এবার অনেকটা ভিন্ন। দিনে গরম, রাতে শীত।
বিজ্ঞাপন
নভেম্বরের মাঝামাঝি পুরোপুরি শীত শুরু হবে এবং ডিসেম্বরে শীতের প্রকোপ দেখা দিবে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহ-আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান।
শীতের আগমনের এ সময়টিতে ছেলে-বুড়ো সবাইকেই বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে আগে থেকেই সচেতনও থাকতে হবে। রাস্তার ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অন্য দিকে শিশুদের সর্দি-কাশির বিষয়েও বাবা-মাকে বাড়তি পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে দিনের বেলা প্রখর রোদ থাকলেও কিন্তু দিনের শেষে সন্ধ্যা নামলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। রাত গভীর হওয়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের অনুভূতি। এমনকি মাঝ রাতের পর থেকে পড়তে থাকে শিশির।
বিজ্ঞাপন
রংপুর নগরীর বজলুর রহমান জানান, দিনের বেলায় বোঝাই যায় না, শীত শুরু হয়েছে, তবে সকালে হাটতে বেরুলেই বোঝা যায় শীতের অনুভুতি। সকালে ফুলহাতা শাট না পরলে ঠান্ডা লাগে।
গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকার আব্দুর রহিম জানান, সন্ধ্যার পরপরই শীত অনুভুত হয়। রাত যত বাড়ে ততই শীত বাড়ে। সকালের কুয়াশায় এখনই দুরের পথ চেনা যায় না। দিনের বেলা বিশেষ করে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ২-৩ টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা থাকে। এরপরেই কমতে থাকে তাপমাত্রা। একই এলাকার রমজান আলী জানান, ভোরে মাছ ধরতে বেড়াই। নদীর পানি এখনই ঠান্ডা লাগে। শীত শুরু হয়েছে, সেটা বোঝা যায়।
এদিকে শীতের আগমনী বার্তার শুরুতেই ঘরে ঘরে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে জ্বর সর্দি, কাশি দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবারের প্রায় সবাই জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে।
সাংবাদিক হুমায়ুন কবির মানিক জানান, দুইদিন আগে রাতে মোটরসাইকেলে লং জার্নিতে ঠাণ্ডা লাগায়, জ্বর সর্দি হয়েছে। রাতে বোঝা যায়, শীতের আগমনী বার্তা। একই কথা জানান শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাড়িতে প্রায় সবারই জ্বর সর্দি, কাশি। চিকিৎসকরা বলছে, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, ঠিক হয়ে যাবে।
প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রংপুরের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ফেরদৌস রহমান পলাশ জানান, দিনে গরম ও রাতে শীতের ফলে বর্তমানে সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও চোখে ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া স্থির হলে রোগের প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। তারপরও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রতিনিধি/ এজে