রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি মুন্না আজিজ মহাজন (৪০) হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী বাবা ও দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মুন্না হত্যার মিশনে এই ৩ জনই অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- বালিয়াকান্দি উপজেলার শাহাদাত মণ্ডল (৬৫) এবং তার দুই ছেলে রাফি মণ্ডল (৩২) ও মেহেদী হাসান দিপু (৩০)।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার সাংবাদিকদের জানান, নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত নেন ভূমিহীনরা। কিন্তু সেই জমি জবর দখল করে রাখেন একই এলাকার ভূমিদস্যু শাহাদাত মণ্ডল ও তার দলের লোকজন। শ্রমিক লীগ নেতা আজিজ মহাজন ভূমিহীনদের পক্ষ নিয়ে খাস জমি জবর দখলের প্রতিবাদ করলে তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ভূমিদস্যুরা।
গত রোববার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে কোনাগ্রামে বড় ভাইয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন আজিজ মহাজন। পথে মণ্ডল মোড় এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শাহাদাত ও তার দুই ছেলেসহ প্রায় ৩০ জন সন্ত্রাসী সড়কে বাঁশ দিয়ে আজিজের গতিরোধ করে। এসময় তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় তারা।
বিজ্ঞাপন
গুরতর জখম অবস্থায় আজিজকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনায় পরদিন সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে আজিজ মহাজনের বড় ভাই আব্দুর রহমান মহাজন বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর এলাকা থেকে শাহাদাত মণ্ডল ও তার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রতিনিধি/এসএস