বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রাজিবপুর বর্ডার হাটে বিক্রেতা নিয়োগে অনিয়ম, লিগ্যাল নোটিশ

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজিবপুর উপজেলার বালিয়ামারী-কালাইয়ের চর বর্ডার হাট কর্তৃপক্ষকে নতুন নিয়োগ বন্ধের লিগ্যার নোটিশ পাঠিয়েছেন রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) নোটিশ পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, বর্ডার হাটে নতুন বিক্রেতা নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তিতে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হাট সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এতে আবেদনকারীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে নতুন বিক্রেতা নিয়োগ বন্ধে বর্ডার হাট সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপ সচিবসহ রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজিবপুর থানার ওসি, কুড়িগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তা, বালিয়ামারী বিওপি কমান্ডার ও রাজিবপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে

গত রোববার (৮ অক্টোবর) রাজিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন শেখের সই করা লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বর্ডার হাট পরিচালনা কমিটির নামে অভিযোগসংবলিত নোটিশ বিভিন্ন দফতরে পৌঁছালে এলাকায় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয় সীমান্তবর্তী ৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের উন্নয়ন বঞ্চিত পিছিয়ে পড়া জনসাধারণের কেনাকাটা করার জন্য এই বর্ডার হাট। দুই দেশের সীমানার জিরো লাইন থেকে ৭৫ মিটার ৭৫ মিটার জায়গায় ৫০টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে ২৫ জন করে উভয় দেশের মোট ৫০ জন বিক্রেতার জন্য। এক্ষেত্রে ভারতের ক্রেতা ৩৯১ জন এবং বাংলাদেশের ক্রেতা ৫৮৭ জন।


বিজ্ঞাপন


বর্ডার হাটের আকার-আয়তন নির্ধারিত এবং ক্রেতা-বিক্রেতাও নির্ধারিত। হাটের আকার-আয়তন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যেমন দোকানঘর, স্যানিটেশন, হাটে অনুমোদনহীন প্রবেশ ইত্যাতি নিয়ন্ত্রণ না করে শুধু বিক্রেতা বৃদ্ধি করা হলে হাটে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে ও নিরাপত্তা রক্ষা করা কঠিন হবে। এ ছাড়াও ৪ মার্চ ২০২০ সালের গণবিজ্ঞপ্তিতে লটারির কথা উল্লেখ থাকলেও ২০২৩ সালের ১৬ জুন তারিখের গণবিজ্ঞপ্তিতে তা অজ্ঞাত কারণে তুলে দেওয়া হয়। এ কারণে বিগত ১৬ জুন ২০২৩ তারিখের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রেতা বৃদ্ধির কার্যক্রম আগামী সাত দিনের মধ্যে বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে এ লিগ্যাল নোটিশে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নতুন বিক্রেতা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একেকবার একেক রকম শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। একবার লটারির কথা বললেও পরে অজ্ঞাত কারণে বাতিল করা হয়। তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও হাটের আকার আয়তন বৃদ্ধি করে নতুনভাবে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রজ্ঞাপনের দাবি জানাই।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন