রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় উন্নয়নের সুফল পেতে শুরু করেছে পারিলা ইউনিয়নবাসী। একটি অগোছালো, ভঙ্গুর ইউনিয়নকে কিভাবে উন্নয়ন দ্বারা বেষ্টিত করে জনগণের কাঙ্খিত চাহিদা পূরণ করা যায় তার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ।
রোববার (১ অক্টোবর) সারাদিন ইউনিয়নে সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, জনগণের চলাচলের রাস্তা, ড্রেন, কালভার্ট হয়েছে সমস্ত ইউনিয়ন জুড়ে। শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে হয়েছে নতুন ভবন এবং কয়েকটি বিদ্যালয়ে ভবন নির্মানাধীন রয়েছে। ইউনিয়নের খড়খড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হয়েছে ৫ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন, খড়খড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানাধীন, এছাড়াও হাটরামচন্দ্রপুর দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বেড়েছে কয়েকগুণ, উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় অত্র বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে চাহিদানুযায়ী।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও যোগাযোগ ব্যাবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। ইউনিয়নের বামনশিকড় হতে মল্লিকপুরের রাস্তার কাজ নির্মানাধীন রয়েছে, সমাপ্ত হয়েছে হাটরামচন্দ্রপুর হতে আশরাফের মোড় পর্যন্ত নতুন কার্পেটিং সড়কের কাজ, ঘোলহাড়িয়া হতে গোদাগাড়ী পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তার কাজ সমাপ্ত হয়েছে। ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর কালোমাইড় হতে দক্ষিণ কালেমাইড় পর্যন্ত নতুন রাস্তা করা হয়েছে, ৩, ৪, ৫ নং ওয়ার্ডের কাঁচা রাস্তায় রাবিশ ফেলে চলাচল উপযোগী করা হয়েছে, ইউনিয়নের বিভিন্ন সংযোগ সড়ক সিসি ঢালাই দিয়ে নতুন করা হয়েছে।
এ সবগুলোই সম্ভব হয়েছে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদের একান্ত প্রচেষ্টায় এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললে তারা অত্র চেয়ারম্যানের প্রশংসা করে বলেন এরকম জনবান্ধন চেয়ারম্যান আগে ছিলোনা অত্র ইউনিয়নে। ইউনিয়নের হাটরামচন্দ্রপুর এলাকার জসিম উদ্দীন নামের এক বাসিন্দার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এর আগেও অনেক চেয়ারম্যান ছিলেন কিন্তু এইরকম পরিকল্পনা করে উন্নয়ন কেউ করেনি সেটা করেছেন আমাদের মুর্শেদ চেয়ারম্যান। এভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে কাজ করার ফলে কাজের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
খড়খড়ি এলাকার মাইনুল হোসেন নামের এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আজকে আপনারা আমাদের এলাকায় দেখতে পাচ্ছেন কত কাজ হয়েছে। আমাদের এই এলাকার রাস্তা নতুন হয়েছে। এইখানে হইস্কুলের নতুন ভবন হয়েছে। এইগুলে আগে কোন চেয়ারম্যানের আমলে হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান মুর্শেদ ভাই তার পরিকল্পনায় আমাদের ইউনিয়নের সব কাজ গুছিয়ে ফেলছেন। এতে আমরা ইউনিয়নবাসী সুবিধা পাচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
মালেকা বেগম নামের একজন বলেন, আমরা আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আগে আমরা আমাদের নাগরিক সুবিধাগুলো পেতাম না। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান মুর্শেদ ভাই আমাদের সবগুলো সুবিধা অসুবিধার কথা শুনেন এবং সেগুলো প্রতিকার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সেই জন্য আমরা আমাদর নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ আলী মুর্শেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরন্ত শেখ হাসিনা আপার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ বির্নিমাণে যেগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন হচ্ছে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে। আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আয়েন উদ্দিন এমপি মহোদয়ের সার্বিক সহযোগিতায় আমার পারিলা ইউনিয়নে প্রায় ৭০% ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি ৩০% কাজ ইনশাল্লাহ অতিদ্রুত সময়ের ভিতরেই হয়ে যাবে। আমি আমার ইউনিয়নবাসীর সহয়োগীতা চাই। তারা আমার পাশে থাকলে যে কোন কঠিন কাজ সহজেই হয়ে যাবে।