জালিয়াতির মামলায় পিবিআইর হাতে গ্রেফতার বরখাস্ত পুলিশ সদস্য

এসময় এসপি জানান, ২০১৯ সালে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর প্রতারণা ও জালজালিয়াতিকে পেশা হিসেবে নেয় জাহের। সম্প্রতি ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য একরামুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নিজেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন আবু জাহের। আলাপকালে ইউপি সদস্যকে ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিশেষ কিছু প্রকল্প বরাদ্দ দিবে বলে প্রলুব্ধ করে সে। তার কথায় আশ্বস্ত হয়ে সেদিন বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা পাঠায় ভুক্তভোগী সদস্য। এভাবে ওই ইউপি সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন জাহের। পরবর্তী চলতি মাসের ১০ তারিখ নিজ ওয়ার্ডের অনুকূলে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত স্পেশাল বরাদ্দ হিসেবে প্রায় ৮০ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রশাসনিক একটি অনুমোদনপত্র ডাকযোগে পাঠায় আবু জাহের। ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য বিষয়টি বিশ্বাস করে তার কথামতো বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আবারও ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পাঠায়। টাকা দেওয়ার কয়েক দিন পর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ইউপি সদস্য আসামি কর্তৃক প্রেরিত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রশাসনিক অনুমোদন পত্রটি ফেনী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেনের কাছে উপস্থাপন করে। তখনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে বুঝতে পারেন তিনি।

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী ধর্মপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য একরামুল হক বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফেনী পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক মো. মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একটি টিম কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে এই অপরাধ কাজে ব্যবহার করা বিভিন্ন সিলমোহর, নগদ ১৬ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

প্রতিনিধি/এইচই