কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্ত বাসে রোহিঙ্গা এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাস চালকের সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নাম মো. ফারুক (৩০)।
গত শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে চকরিয়া থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণীর করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় মোট আসামি তিনজন।
বিজ্ঞাপন
চকরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার ফারুক ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ছগিরশাহকাটা দক্ষিণ পাহাড় গ্রামের আবু সৈয়দের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা । ৫-৬ দিন আগে কাজের খোঁজে তিনি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে যান। কাজ না পেয়ে ক্যাম্পে ফেরার জন্য হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাস ভাড়া দিতে না পারায় তাকে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেওয়া হয়। টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাসের হেলপার তাকে কোথায় যাবেন জানতে চায়।
পরে উখিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে বাসে তোলেন। এরপর চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার মিলে বাসের ভেতর মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। ওই তরুণীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে হেলপার মো. ফারুককে পুলিশে সোপর্দ করেন।
বিজ্ঞাপন
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি জানান, তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। তরুণীর করা মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাসের হেলপার ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
টিবি

