সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও কাপড়ের দোকানে অভিযান শুরু করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে কাপড়ের দোকানে দাবিকৃত বিক্রয়মূল্যের সাথে ক্রয় রশিদে উল্লেখিত মূল্যের অসামঞ্জস্য, ক্রয় রশিদ প্রদর্শন করতে না পারা, অতিরিক্ত মূল্যে কাপড় বিক্রি করা এবং কাপড়ের গায়ে স্টিকারে সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য না লেখে বিভিন্ন গোপন কোড লিখে রাখার অপরাধে আমিনা ফ্যাশন, ফেয়ার লিডিস, আনিছা ফ্যাশন, সায়ান ফ্যাশন এবং নীলিমা ফ্যাশন এন্ড কসমেটিকস শপকে দণ্ডিত করা হয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও বিভিন্ন ফার্মেসি, মাংস ও মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে আরো ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সোমবার র্যাব–৯-এর একটি চৌকশ দলকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ।
মাসুদ বলেন, ১ হাজার টাকায় কেনা কাপড় দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। ভোক্তাদের সাথে দাম কষাকষি করে তা বিক্রি হয় কখনও ৪ হাজার টাকায় আবার কখনও ১৫শত টাকায়। বছরের পর বছর ধরে সিলেটের বিভিন্ন কাপড়ের বাজারে এভাবেই চলছে বেচাঁকেনা। ফলে কাপড় কিনতে গিয়ে হরহামেষাই হিমসিম খেতে হয় সাধারণ ভোক্তাদের।
তিনি বলেন, দরকাষাকষি না করতে পেরে অনেকেই হয়তো দ্বিগুন তিনগুন দামে কাপড় কিনে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, আবার অনেকে একাধিক দোকান যাছাইবাচাইয়ের মাধ্যমে দরকষাকষি করে যথাযথ দামে কাপড় কিনতে পারলেও ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত সময় ও শ্রম।
বিজ্ঞাপন
মাসুদ আরও বলেন, ভোক্তাদের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে মুক্তি দিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে আমাদের এধরণের অভিযান অব্যহত থাকবে। তবে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে প্রাথমিক অবস্থায় জরিমানার পরিমাণ সীমিত রেখে সচেতনতামূল প্রচারণায় জোর দিচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তর।
এজে

