শরীয়তপুর আদালতের পিয়ন আল-আমীনের সঙ্গে পুরি নিয়ে তর্ক করায় আব্দুস সালাম নামের এক হোটেল মালিককে প্রায় ৮ ঘণ্টা হাজতে কাটাতে হয়েছে ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পুলিশ হোটেল থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। বিকেল ৪টার পরে আব্দুস সালামকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল-আমীন ঢাকা মেইলকে জানান, আমি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের জন্য পুরি কিনতে যাই সালাম নামে এক দোকানির কাছে। পুরি প্যাকেট করে দেওয়ার পর একটা খেয়ে দেখি। একদম ঠান্ডা। দাঁত দিয়ে ছেঁড়া যাচ্ছে না। ঠান্ডা পুরি কেন দিয়েছেন জানতে চাই দোকানের কর্মচারীর কাছে এবং গরম পুরি ভেজে দিতে বলি। কিন্তু ভেজে না দিয়ে হোটেলের কর্মচারী তর্ক করেন এবং বলে, আপনার নেওয়া লাগবে না। ওই সময় মালিক এসে ঝাড়ি দেয় এবং টাকা ফেরত নিয়ে চলে যেতে বলেন। পরে আমি চলে এসে বিষয়টি স্যারদের জানিয়েছি।
আল-আমীন শরীয়তপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেদায়েত উল্লাহর পিয়ন বলে ঢাকা মেইলকে জানান।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে হোটেল মালিক আব্দুস সালামকে পুলিশ দিয়ে ডেকে আনা হয়। এরপর তাকে গারদে আটকে রাখা হয়। ওই ব্যবসায়ীর ভাগ্য ভালো। মামলা হলে সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে অনূর্ধ্ব ৭ দিন পর্যন্ত জেল দিতে পারতেন। আবার চাইলে তিনি ক্ষমাও করতে পারতেন। আল-আমীন ম্যাজিস্ট্রেটের পিয়ন বলার পরও তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন। এ জন্য ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সালামকে ডেকে আনতে বলেছেন।
দোকান মালিক আব্দুস সালাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় পুরি নিতে আসেন শরীয়তপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের পিয়ন আল-আমীন। গরম কিনা জানতে চাইলে হোটেল কর্মচারী ১০ মিনিট আগে চুলা থেকে নামানো হয়েছে জানান। ঠান্ডা পুরি প্যাকেট করে দেওয়ায় কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি নিজে বিষয়টি চুকাতে বললে তিনি আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। পরে চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ এসে হোটেল থেকে আমাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যান। এরপর কোর্টের গারদে বন্দি করে রাখেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

