লক্ষ্মীপুরে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী না হওয়ায় শিশু-শিক্ষার্থী আরাফাত রহমান রিশাদকে (৮) বেদম পিটুনি দিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেনের (৩২) নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তওহীদুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ওসি আরও জানান, এদিন সন্ধ্যায় থানায় মামলাটি রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলছে।
মামলার বাদি ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর মা রাহিমা বেগম শিক্ষক বেলাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
শিশু-শিক্ষার্থী রিশাদ সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড় আউলিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আরিফুর রহমানের ছেলে।
অভিযুক্ত বেলাল হোসেন বড় আউলিয়া দারুস সুন্নাহ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক এবং ওই এলাকার নবী হোসেনের ছেলে। শিশু রিশাদ তার প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন
শিক্ষার্থী রিশাদের মা রাহিমা বেগম জানান, শ্রেণীকক্ষে অন্যমনস্ক থাকার অভিযোগে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে তার ছেলে রিশাদকে বেদম বেত্রাঘাত করে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা বেলাল হোসেন। এতে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হয়। তবে ঘটনাটি পরিবারের লোকজনকে জানাতে নিষেধ করে শিক্ষক বেলাল হোসেন। কিন্তু শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রিশাদ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় শিক্ষক কর্তৃক বেত্রাঘাতের বিষয়টি সে পরিবারকে জানায় এবং তার শরীরে জখমের চিহ্ন দেখতে পান। পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পরিবারের লোকজন তাকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
রাহিমা বেগম আরও বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। এটা এক প্রকার নির্যাতন। এতে সে মানুষিক এবং শারিরীক সমস্যায় ভূগতেছে। আমি মাদরাসা শিক্ষক বেলাল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। শিক্ষক বেলালকে মৌখিকভাবে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

