বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

স্বপ্ন দেখাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, উদ্বোধন অক্টোবরে 

এম আই খলিল, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

স্বপ্ন দেখাচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, উদ্বোধন অক্টোবরে 

আগামী আক্টোবর মাসে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে কক্সাজারের মহেশখালীতে নির্মিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে কথা রয়েছে। আর এই সমূদ্র বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসএএ) সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ। তিনি বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে গভীর সমুদ্রবন্দর আছে সিঙ্গাপুরে। যে কারণে মাদারভ্যাসেলগুলো ওখানেই ভিড়ে। ওখান থেকে ফিডার জাহাজে করে এখানে আনতে হয়। এতে অনেক খরচ হয়। এ খরচতো ইমপোর্টারদের পকেট থেকে দিবে না। তাই চাপটা পড়ে ভোক্তাদের ওপর। মাতারবাড়ি বন্দর হলে ইমপোর্টারদের খরচ কমে যাবে, জিনিসপত্রের দামও কমে যাবে। 


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বন্দর এগিয়েছে, যা গত দশ বছরের সাথে তুলনা করলে স্পস্ট

 হয়ে যাবে। আগে বন্দর কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক সময় লাগতো। এখন আর এতো সময় লাগে না। এর অন্যতম কারণ হলো কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ বেশ জোর দিয়েছে। তবে বন্দর নিয়ে আমাদের যে অভিযোগ তা বন্দর কর্তৃপক্ষকে নিয়ে নয়, অভিযোগ হলো কাস্টমসের বিরুদ্ধে।

সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, পৃথিবীর কোনো বন্দরে কনটেইনার খুলে পরীক্ষার সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদের বন্দরে কাস্টমস এ সুযোগটি পায়। কাস্টমস এ পরীক্ষাটি যদি অফডকে করতো তাহলে বন্দর আরও গতিশীল হতো। এখানে বন্দরের গতিশীলতা বাড়াতে কাস্টমসের কাজের ধরনে পরিবর্তন আনা দরকার। এটি নিয়ে আমরা অনেকবার এনবিআরকে বলেছি।

মাতারবাড়ি ঘিরে চলছে কর্মযজ্ঞ


বিজ্ঞাপন


কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার গ্রামীণ জনপদ মাতারবাড়ি ইউনিয়ন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে বেগবান করতে মহেশখালী-মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে ৩৪টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। তাতে বদলে যাচ্ছে চিরচেনা মাতারবাড়ি। 

এখানে গড়ে উঠছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কোল জেটি, এলএনজি টার্মিনালসহ বাণিজ্যিক বন্দর। এই বন্দরের পোতাশ্রয়ে ১৬ মিটার পর্যন্ত ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। ফলে সামগ্রিক পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে আনুমানিক ১৫ শতাংশ।

ভূ-অবস্থানগত সুবিধা এবং গভীর সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা থাকায় মাতারবাড়ি বন্দরটি দক্ষিণ এশিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হবে। এ বন্দরকে কেন্দ্র করে নিকটবর্তী এলাকায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়ন ঘটবে। ফলে বিপুলভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের ইকোনমি তথা তেল-গ্যাস ও অন্যান্য সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও ব্যবহারের সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। এতে দুই শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

দৃশ্যমান গভীর সমুদ্রবন্দর

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ধলঘাট এলাকায়। বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে ১ হাজার ৩১ একর জায়গার নির্মাণ করা হচ্ছে এই বন্দরটি। 

মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে ৮ হাজার ২০০ টিইইউএস ক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেনার বহনকারী জাহাজ নোঙর করতে পারবে। ফলে পণ্য নিয়ে সিঙ্গাপুর, কলম্বো আর মালয়েশিয়ার বন্দরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের আর অপেক্ষায় থাকতে হবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় একটি পণ্যের চালান পাঠাতে সময় লাগে ৪৫ দিন। মাতারবাড়ি বন্দর চালু হলে মাত্র ২৩ দিনেই সরাসরি নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবহণ পরিচালক এনামুল করিম। 

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের দুই টার্মিনালে মোট ৭৬০ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণ করা হবে। সেখানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ জেটিতে ভিড়বে ৩৫০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জাহাজ। আর ৩০০ মিটার দীর্ঘ জেটিতে ভিড়বে ২০০ মিটার লম্বা সাধারণ জাহাজ। নৌপথে এখন পানির গভীরতা ১৬ মিটার। এই গভীরতা ব্যবহার করে ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। 

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার (সিডিএল) গভীরতা স¤পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এপ্রোচ চ্যানেল নির্মাণ শেষ হয়েছে। এছাড়াও এপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পাশে ২ হাজার ১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পাশে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণের কাজও স¤পন্ন হয়েছে।

২০২৬ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে জাহাজ থেকে কনটেইনার ও পণ্য ওঠানো নামানোর এই টার্মিনাল। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় মাতারবাড়ি টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, তিন প্যাকেজে মাতারবাড়ি বন্দর সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। মাতারবাড়ি থেকে চকরিয়ার ফাসিয়াখালী পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে এটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চারলেন মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সড়কটি নির্মাণের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সড়ক বাস্তবায়ন হলে বন্দর পণ্য সড়কপথে দেশের যে কোনো স্থানে পরিবহন করা যাবে বলে জানান তিনি।

কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সমূদ্রবন্দরের সূচনা

২০১৫ সালে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। জাইকার অর্থায়নে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে মাতারবাড়ি পর্যন্ত ১৪ দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ, ১৬ মিটার ড্রাফট (গভীরতা) এবং ২৫০ মিটার চওড়া চ্যানেল নির্মাণ করা হয়।

কয়লা বিদ্যুতের চ্যানেলের ওপর ভিত্তি করে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা যায় বলে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) একটি প্রস্তাবনা দেয়। সেই প্রস্তাবনা ও পরবর্তী সময়ে সমীক্ষার পর মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। আর এরই আওতায় চ্যানেলের চওড়া ১০০ মিটার বাড়ানোর পাশাপাশি গভীরতাও ১৮ মিটারে উন্নীত করা হয় বলে জানান মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হায়দার। 

তিনি বলেন, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হবে আগামী বছর। মাতারবাড়ি এখনো বন্দর হিসাবে গড়ে না উঠলেও এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবাহী ৭টি বড় জাহাজ ভিড়ে ইতিমধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ নিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সক্ষমতার রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।

এই গভীর সমুদ্রবন্দরের পাশেই ১২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ১৬ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানোর জন্য এরই মধ্যে ১৪ দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া চ্যানেল খনন করা হয়েছে।

এ বছরের ২৯ জুলাই দুপুর ১২ টায় কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। এদিন ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাস¤পন্ন প্রথম ইউনিটটি চালু করা হয়। এখানে প্রতিঘণ্টায় ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যা জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে। বিদ্যুকেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। পরীক্ষামূলক এই প্রক্রিয়া সফল হলে আগামী ডিসেম্বরই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোদমে চালু হবে।

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ও ধলঘাটা ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০৮ একর জমির ওপর স্থাপিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহায়তায় প্রায় ৫১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে। ৭ বছর মেয়াদে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সহযোগিতা করছে জাপানের সুমিতোমো, তোশিবা ও আইএইচআই কো¤পানির কনসোর্টিয়াম। ২০১৭ সালে প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয়। কোল পাওয়ার জেনারেশন কো¤পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিএল) এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

সোনাদিয়া-পায়রা থেকে মাতারবাড়ি

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনায় কক্সবাজারের সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি, আবার কখনো পটুয়াখালীর পায়রার নাম শোনা গিয়েছিল। সোনাদিয়া ও পায়রা বাদ দিয়ে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হিসেবে জাইকার অর্থায়নে সেখানে চলমান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাইরে আরেকটি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

জানা যায়, সোনাদিয়া থেকে সরে এসে পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের পর অনুধাবন করা হয় সেখানে সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করলে তা দেশের জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হবে না। সেখানে চ্যানেলের ৭০ কিলোমিটার এলাকা ড্রেজিং করতে প্রতিবছর প্রচুর টাকা খরচ হবে। এসব কারণে জায়গাটিকে উপযুক্ত নয় বলে মনে করে সরকার। সে জন্যই পায়রার পরিবর্তে মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জাপানের নিপ্পন কোয়ে, জার্মানির পিচনার, জাপানের টেপসকো ও অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের সমীক্ষার ভিত্তিতে গভীর সমুদ্রবন্দরের নতুন কাঠামো চ‚ড়ান্ত করা হয়।

জাপানি সহায়তায় নির্মাণ হচ্ছে গভীর সমূদ্রবন্দর 

মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বন্দর নির্মাণে জাপানি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ৭৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। বাকি ২ হাজার ২১৩ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা দিবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

এছাড়া বন্দর এলাকায় সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে জাইকা ঋণ সহায়তা দিবে ৬ হাজার ১৫০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। বাকি ২ হাজার ৬৭১ কোটি ১৫ লাখ সড়ক ও জনপথের (সওজ) ফান্ড থেকে ব্যয় করা হবে। বন্দর ও সড়ক নির্মাণে জাপান সরকার মোট ঋণ সহায়তা দিবে ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সাধারণত মাত্র ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটবিশিষ্ট জাহাজ বার্থ করতে পারে। তবে স¤প্রতি ১০ মিটার ড্রাফটের একটি জাহাজ ভেড়ানো হয়েছে। কিন্তু এসব জাহাজ ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ২৪০০ টিইইউএস কন্টেনার বহন করতে পারে। একটি মাদার ভেসেলের ধারণক্ষমতা ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টিইইউএস কন্টেনার। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হলে ৮ হাজার টিইইউসের বেশি সক্ষমতার কন্টেনার বহনকারী জাহাজ নোঙর করতে পারবে। সহজেই আসতে পারবে বৃহদাকার কন্টেনার জাহাজ। 

প্রতিনিধি/একেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর