পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়ন থেকে জেসমিন বেগম (৩৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে জেসমিন বেগম মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জেসমিন বেগম ইকড়ি গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অটোরিকশা চালক কবির মাতুব্বরের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, সকালে জেসমিনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে বাঁচানোর উদ্দেশে ফাঁস দেওয়া ওড়না কেটে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে জেসমিনের পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী মনে করছেন তার মৃত্যু রহস্যজনক।
নিহতের ছোট ভাই কালাম জোমাদ্দার জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকসহ বিভিন্ন পারিবারিক বিরোধ বিয়ের পর থেকেই চলে আসছে। আমরা বিরোধ মেটাতে তার স্বামীকে অটোরিকশা কিনে দিয়েছি। কিন্তু কবির মাতুব্বর ও তার বড় বোনের অত্যাচার দিনের পর দিন বেড়েছে। তারাই আমার বোনকে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে জেসমিনের স্বামী কবিরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস