কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জগতি এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার ২১ দিন পর মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় নাজির আহাম্মেদ হিরু নামের এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বাণী সিনেমা হলের পেছনের একটি আমবাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
অটোরিকশা চালক নাজির আহাম্মেদ হিরু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার বশির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরের খাওয়া শেষ করে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় হিরু। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে হিরুর নিখোঁজের বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এবং তার সন্ধান চেয়ে সাংবাদ সম্মেলন করে তার পরিবার।
আরও পড়ুনঃ মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, এলাকা রণক্ষেত্র
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ জানান, হিরু নিখোঁজের পর শহরের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালচনা করে এবং প্রযুক্তির সহযোগিতায় এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শহরের এনএস রোড থেকে তুষার নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হিরুকে হত্যা এবং তার লাশ গুমের উদ্দেশে মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করে তুষার।
আটক তুষারের বরাত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) শহরের বানী হল এলাকা থেকে মালামাল বহনের কথা বলে হিরুর অটোরিকশা ঠিক করেন তুষারের বোনের স্বামী এবং বারখাদা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে জনি (২৮)।
পরে জনির ভাড়ার বাসা থেকে মালামাল নেওয়ার কথা বলে তাকে বাসায় নিয়ে যায় জনি। সেখানে জনি এবং তুষার মিলে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে হিরুকে। পরে হিরুর অটোরিকশা নিয়ে পাবনায় ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে তুষার এবং জনি। এবং পাবনা থেকে ফিরে এসে হিরুর লাশ গুম করার উদ্দেশে ওই আমবাগানে মাটিচাপা দেয় দু’জন। পরে তুষারের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে হিরুর মরদেহ দেহ উদ্ধার করে পুশিল।
এই ঘটনায় হিরুর পরিবারের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস