সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফ্ল্যাট বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, ১৫ খদ্দের শ্রীঘরে

জেলা প্রতিনিধি: ফেনী
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১০:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ফ্ল্যাট বাসায় অসামাজিক কার্যকলাপ, ১৫ খদ্দের শ্রীঘরে

ফেনী শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়াটার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে অভিযান চালিয়ে অবৈধ যৌন কারবারের অভিযোগে ১৫ পুরুষ ও ৬ নারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আটককৃত ৬ নারীকে জিজ্ঞাসাদ শেষে নিজেদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মামলার এজহার ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফেনী শহরের এফরহমান এসি মার্কেটের পেছনে একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিল মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা মাতব্বর আলী। স্থানীয় প্রভাবশালী ও কতিপয় ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারী পতিতা নিয়ে আসতো সে। বিষয়টি আশপাশের অনেকে টের পেলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ফেনী মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ ওই বাসায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই বিল্ডিংয়ের নিচ তলার কয়েকটি কক্ষ থেকে ১৫ জন খদ্দের ও ৬ জন পতিতাকে আটক করা হয়।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, যাছাই-বাছাই শেষে জানা যায়- কতিপয় পুরুষ ওই নারীদেরকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতারণা ও প্রলোভন দেখিয়ে ফেনীতে এনে যৌন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। যার ফলে আটককৃত খদ্দেরদের মানবপাচার বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, সোনাগাজীর সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বাগেরহাট জেলার চিতন মারি থানার আডুবন্নি গ্রামের সেকান্তর মোহাম্মদ, সোনাগাজীর মো. হানিফ, ফেনীর ছনুয়া গ্রামের অমিত হাসান, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের আবুল কালাম, একই উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার মুহাম্মদ সুমন, ছাগলনাইয়া রাধানগর ইউপির হাসেমপুর গ্রামের মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলার মোশারফ গাজী, ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া গ্রামের ছেলে মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলাম, দাগনভূঞার চন্দ্রপুর এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব মধু গ্রামের মনসুর আলম, ফেনী সদরের টঙ্গীর পাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল রিফাত, ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া গ্রামের ইয়াসিন হোসেন হৃদয়।

আটকের পর ছাড় পাওয়া নারীরা হচ্ছেন, সূত্রাপুর থানার সোনালী, চট্টগ্রাম মিরসরাই থানার জান্নাতুল রায়হান নদী, চট্টগ্রাম রাউজান থানার আসমা আক্তার, চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার কাজির টেক গ্রামের শিলা বেগম, চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থানার শারমিন আক্তার ও বান্দরবান জেলার হলুদিয়া গ্রামের সুরাইয়া বেগম।


বিজ্ঞাপন


ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফেনীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এসব অনৈতিক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানা সোচ্চার ভূমিকায় থাকবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারী দেন ওসি।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর