কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছেন এক নারী। এতে করে গুরুতর জখম হন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা। পরের স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজন।
সোমবার(১৪ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের পিছনে আম বাগানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী নারীর নাম শামিমা খাতুন সে ভেড়ামারা মধ্যবাজার এলাকার আবু বকরের মেয়ে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। নারীর হামলায় আহত ওই ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম মঈনুল ইসলাম। তিনি অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় প্রিন্সিপাল অফিসার পদে কর্মরত আছেন।
শামিমার দাবি, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল ভালোবেসে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু ব্যাংক কর্মকর্তা মইনুল হোসেন তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার না দেওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে তাকে অবহেলা করে আসছে। যার ফলে তার সঙ্গে ব্যাংক কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে গলায় ছুরি ধরে ব্যাংক কর্মকর্তা। নিজের আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উল্টো ছুরি লাগে ব্যাংক কর্মকর্তার গলায়। এ সময় তার হাত কেটে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূন যায়েদ বলেন, প্রশাসনিক ভবনের পেছনে আম বাগানে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার গলায় এক নারী ধারালো কিছু দিয়ে পোঁচ দেন। এসময় স্থানীয়রা ওই নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ওই ব্যংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই নারীকে আপাতত থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এজে