বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

রাজবাড়ীতে চিকিৎসকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

রাজবাড়ী জেলার পাংশায় ক্লিনিকের জন্য জোরপূর্বক জমি বিক্রিতে বাধ্য করার চেষ্টা ও মারধরের মামলায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও বর্তমান জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আক্তার হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজবাড়ীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. সুমন হোসেন এ আদেশ প্রদান করেন।


বিজ্ঞাপন


অভিযুক্তরা হলেন- রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও মেডিল্যান্ড ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো.আক্তার হোসেন, তার সহোদর নয়মুল হোসেন, সহযোগী মো. সোহেল রানা ও মো.আমিরুল ইসলাম।

এর আগে পাংশা থানা পুলিশের তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ৪ জনের বিরুদ্ধে সমনের আদেশ জারি করেন। রোববার আদালতের আদেশ অমান্য করে আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ জারি করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পাংশা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন নারায়নপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক এনামুল কবিরের নিজ বসতবাড়ী মেডিল্যান্ড ক্লিনিকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ২৯ মার্চ অস্ত্রসস্ত্র ও মোটরসাইকেল নিয়ে বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। 

এসময় স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শারমীন রেবা লিপি,শিশু পুত্র সামিউল হাবিব, কন্যা জিনাত তাসনিমকে মারধর, স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী শারমীন রেবা লিপি বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল রাজবাড়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করে।

বিচারক মামলাটি পাংশা থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পাংশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান (মামুন) তদন্ত পূর্বক গত ১৮ মে চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জমি বিক্রিতে বাধ্য ও মারধরের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আক্তার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ডা. আক্তার হোসেনকে সম্প্রতি জয়পুরহাট ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনি যখন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আরএমও ছিলেন তখন তিনি নিয়মিত অফিস করতেন না। তাই আমরা উ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। তবে তার মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. বিপ্লব রায় বলেন, আদালতে আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন