কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
শনিবার (১২ আগস্ট) রাত ২টার দিকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
ওই গৃহবধূর নাম মৌসুমি খাতুন (২৫)। তিনি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পূর্ব ধনিরাম গ্রামের মনছুর আলীর কন্যা।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা নাসির আলী বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী রাশেদুল ইসলাম আশেক, শ্বশুর তাজুল ইসলাম ও শাশুড়ি রশিদা বেগমকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, পাঁচ বছর আগে ওই ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিরাম গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম আশেকের (২৮) সঙ্গে বিয়ে হয় মৌসুমির। প্রেমের বিয়ে হলেও মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মনছুর আলী বিয়ের সময় জামাইকে এক লাখ টাকা যৌতুক দেন। কিন্তু জামাই রাশেদুল ইসলাম তার পিতা মাতার পরামর্শে মৌসুমির বাবার বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। মৌসুমি এতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর চলে মারধরসহ অমানসিক নির্যাতন।
এরপরও মৌসুমি মুখ বুজে সব সহ্য করে। এ নিয়ে গত ৮ আগস্ট সকালে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাশেদুল মৌসুমিকে বেদম মারপিট ও নির্যাতন করে। এতে মৌসুমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে। খবর পেয়ে মৌসুমির নানা জাহেদুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফুলবাড়ী হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১২ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪ টায় আবারও তাকে ফুলবাড়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ২ টায় তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রতিনিধি/এইচই