বান্দরবানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও পাহাড় ধসে এ র্পযন্ত নিহতের সংখ্যা ১০ জন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মুজাহিদ উদ্দিন।
শুক্রবার (১১ আগষ্ট) বিকেল ৫টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দেন।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন- বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতি মুসলিম সিকদার পাড়া এলাকার ইউনুস (৪৭), ভুইট্টাপাড়া তরচ্যং ম্রো (৩২), বান্দরবান সদর ইউপির দাতভাঙ্গা পাড়া ছায়ারানি তংঞ্চঙ্গ্যা (৪৫), বান্দরবান পৌরসভার গোধার পাড় এলাকার সন্ধ্যা বালা শীল (৫২), বর্ষা শীল বুলু (১৭), লামা ফাসিয়া খালি এলাকার করিমা আক্তার (৩৬) রুপসী পাড়ার মংবাসিং মার্মা (২৮), আলীকদমে জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঠাকুর পাড়া এলাকার মুছা (২২), আব্দুল আমিন (১৮), নাইক্ষ্যংছড়ি সোনাইছড়ি এলাকার পংচা মার্মা (৬৫)।

জেলাপ্রশাসক জানান, সম্প্রতি স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার অধিকাংশ জনগণ। সবশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত জেলায় পাহাড় ধসে ১০ জন নিহত হয়েছেন। ১৫ হাজার ৮০০ পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৩ হাজার ৫৭৮ পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আংশিক ও ৮ হাজার ২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গতকাল বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া আহম্মদ্যার কলোনি এলাকার সাঙ্গু নদীর তীর এলাকায় নদীর ভাঙনে ১টি দোতলা দালান ও ৭টি কাঁচা ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রশাসন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী, পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট ত্রাণ ও সহায়তা করা হচ্ছে। তবে এই পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী। তাই জেলায় ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী সবাইকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস

