টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক কিশোরী ধর্ষণ মামলায় লিটন মিয়া (২০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহবুবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
দণ্ডপ্রাপ্ত লিটন মিয়া উপজেলার পরীগাছা গরম বাজার গ্রামের ছোয়াদ আলীর ছেলে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আলী আহমদ জানান, দণ্ডিত আসামি লিটন মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে তার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর বিকেলে ভিকটিমের মা বাড়ির বাইরে থাকায় দণ্ডিত আসামি ভিকটিমের বাড়িতে এসে তার ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এরপর বিয়ের কথা বললে, ভিকটিমকে বিয়ে না করে হুমকি প্রদর্শন করে। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে মধুপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছানোয়ার হোসেন ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটির ভরণপোষণের দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে।
এদিকে, বাদীপক্ষের মামলা দায়ের থেকে শেষ পর্যন্ত আইনগত সহায়তা প্রদান করেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ ও বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট জিনিয়া বখ্শ।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/এসএস