যশোর জেলা বিএনপির জনসমাবেশে দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন চলছে। জনতার স্রোত চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্যাতন-নিপীড়ন করে পতন ঠেকানো যাবে না। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থেকেই এই সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।
সোমবার (৩১ জুলাই) জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশ পথে বিএনপির শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের যৌথ হামলা, নির্যাতন ও গণগ্রেফতারের প্রতিবাদে জেলা বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী মানুষ জেগে উঠেছে। তার যতার্থ প্রমাণ গেল ২৮ জুলাই ঢাকার মহাসমাবেশে দিয়েছে। সেদিন সমগ্র ঢাকা মহানগরী বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পরিণত হয়। বিএনপির সর্বোচ্চ ধৈর্য্য এবং সংযম প্রদর্শন করে রাজনীতি করে। গেল দেড় দশক ধরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তথাকথিত জনগণের বন্ধু পুলিশের নির্বিচার গুলিতে দলের অসংখ্য নেতকর্মীকে নির্মম জীবন দিতে হয়েছে। সেই সাথে শাসকদলের সন্ত্রাসীরা দলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এরপরও আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শন করে রাজনীতি করছি। সেই ধৈর্য্যরে পরীক্ষায় আওয়ামী লীগ বিএনপির কাছে পরাস্থ হয়েছে। গেল ২৯ তারিখ বিএনপির একটি গুগলি না বুঝে আওয়ামী লীগ স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও বিএনপির কাছে পরাস্থ হয়েছে। আর তাই বিভ্রান্ত আওয়ামী লীগ নিজেদের জড়তা কাটাতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমান উল্লাহ আমানের মত নেতাদের আঘাত করে একটি নাটক মঞ্চাস্থ করে।
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বিনা কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের আটক প্রসঙ্গে প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, অহেতুক নেতাকর্মীদের আটক করবেন না। আমাদের সকলকে কারগারের রাখার মত সাধ্য আপনাদের নেই। দয়া করে আপনারা অনার্থক জনগণের মুখোমুখি হবেন না। আপানাদের সাথে কোন বিরোধ নেই। আমদের যুদ্ধ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে, অপরাজনীতি, দুর্নীতি, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। তাই অহেতুক কোনো উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে দলীয় নেতাকর্মীররা ধৈর্য্য ধারণ করলেও সাধারণ জনগণ কিন্তু ধৈর্য্য করবে না। এর দায়ভার আপনাদের বহন করতে হবে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তব্য দেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, আবুল হোসেন আজাদ, সাবেক দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম আজাদ, মারুফুল ইসলাম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোত্তর্জা এলাহী টিপু, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড.শহীদ ইকবাল হোসেন, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, চৌগাছা পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা আওলিয়ার, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাঘারপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই মনা, নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নঈম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদোসৗ বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রবিউল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন, বিএনপি সদস্য অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাড.মো.ইসহক, গোলাম রেজা দুলু, মো.মুছা, একে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চুসহ জেলা বিএনপির অধীনস্থ সকল ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিনিধি/এইচই