ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অধীনস্থ এক কর্মচারীকে গালাগাল, মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সারাদেশে পুকুর ও খাল খনন প্রকল্পের (আইপিসিপি) দায়িত্বরত কার্য সহকারী আল আমিনকে টেন্ডার যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করতে বলেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন। আল আমিন ওই কাজ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় কিভাবে কাজ করবে তা প্রকৌশলী জাকির হোসেনের কাছে জানতে চান। এসময় তিনি কম্পিউটার অপারেটর নাজির আহমেদের কাছ থেকে জেনে নিতে বলেন। নাজির আহমেদ কাজটি বুঝতে না পারায় তারা দুজনে মিলে উপজেলা প্রকৌশলী জাকিরের কাছে কাজটি কিভাবে করবে জানতে চাইলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে প্রকৌশলী জাকির হোসেন আল আমিনকে থাপ্পর দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এসময় তিনি কর্মচারীদের হাজিরা খাতা থেকে আল আমিনের নাম ও স্বাক্ষর কেটে দিয়ে তাকে অফিসে আসতে নিষেধ করেন।
এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদলের কাছে অভিযোগ করে।
আইপিসিপি প্রকল্পের কার্য সহকারী আল আমিন বলেন, স্যার টেন্ডারের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করতে বললে আমি তা বুঝতে না পারায় স্যারকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বললে, তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ মারধর করেন।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর নাজির আহমেদ বলেন, আল আমিনকে মারধর করা স্যারের ঠিক হয়নি।
বিজ্ঞাপন
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, সে আউট সোর্সিংয়ের কর্মচারী। ঠিকমতো কাজ করে না।
তবে মারধর করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবিদুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল বলেন, আল আমিন মৌখিকভাবে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/এইচই