শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চান প্রতিবন্ধী শফিকুল 

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২২, ১২:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর চান প্রতিবন্ধী শফিকুল 
ছবি: ঢাকা মেইল

'শুনেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিছে। আমিও একটি ঘর চাই, ঘর পেলে আমার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েগুলোকে নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো। আমার এ বসত ভিটায় কেউ যদি একটা ঘর করে দিতো তাহলে সন্তানদের নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারতাম।’

মুজিববর্ষে একটি ঘর চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এভাবেই আকুতি জানিয়েছে নাটোরের প্রতিবন্ধী শফিকুল ইসলাম (৪৪)। তিনি আশা করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার ঘরের জন্য একটি ব্যবস্থা করে দিবেন। 


বিজ্ঞাপন


শফিকুল প্রতিমন্ত্রী পলকের সংসদীয় এলাকা সিংড়া উপজেলার ৫ নম্বর চামারী ইউনিয়নের গোটিয়া গ্রামের ছেলে। 

তার পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ঘর বলতে পাটকাঠির বেড়া, ভাঙা টিন এবং পেপার টাঙানো একটি কুঁড়েঘর। সেই জরাজীর্ণ ঘরেই স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গাদাগাদি করে কোনোরকম বাস করছেন তারা। কিন্তু মেয়ে বড় হওয়ায় আলাদা একটি ঘর দরকার। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য তুলে খেয়ে না খেয়ে কোনোরকম দিন চলছে তাদের।  

২০ বছর বয়সে শফিকুল একদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়। তখন থেকে কাজ করার শক্তি হারান তিনি। এরপর থেকে তার শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ায় প্রতিমাসে রক্ত দিতে হয়। 

শফিকুলের বাবা আমজাদ বলেন, ‘আমার বড় ছেলে শফিকুল শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কাজকর্ম করতে পারে না। ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারে না। পুকুর পাহারা দিয়ে মাসে সামান্য ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করে। সে টাকা আর মানুষের সহযোগিতায় কোনোরকম দিন চলছে।’


বিজ্ঞাপন


শফিকুলের স্ত্রী আন্জুয়ারা বেগম কান্নাকণ্ঠে বলেন, ‘একটি ঘরের অভাবে স্বামী ও সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। শুনেছি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জমি ও ঘর উপহার দিচ্ছেন। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা গোঁজার একটি ঘর চাই। তা নাহলে প্রতিবন্ধী স্বামী আর সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুনেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা অনেক মানুষকে ঘর দিয়েছেন। আমিও একটি ঘর চাই, ঘর পেলে আমার ছেলে-মেয়েগুলোকে নিয়ে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই হতো। আমার এ বসত ভিটায় কেউ যদি একটা ঘর করে দিতো তাহলে সন্তানদের নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারতাম।’ 

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি, সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে মুজিববর্ষের একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।’

এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর