রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় ঝুলছে তরমুজ’

মো.হাবিবুর রহমান
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৩, ০৯:২০ এএম

শেয়ার করুন:

‘মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় ঝুলছে তরমুজ’

নড়াইলের কালিয়ায় বর্ষাকালীন হাইব্রিড জাতের অফ সিজন তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে বেশি ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান চাষিরা। তাদের সফলতা দেখে অসময়ের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন অনেকেই।

কৃষি বিভাগও হাইব্রিড জাতের তরমুজ আবাদে কৃষকদের পরামর্শ, বিনামূল্যে সার, বীজ, নগদ অর্থ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


কৃষি অফিস ও চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর কালিয়া উপজেলায় আট হেক্টর জমিতে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। যা গত বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। হেক্টর প্রতি ১৫ টন ফলন আশা করছে করছে কৃষকেরা।

gg

কালিয়া পৌরসভার ছোট কালিয়ার গোবিন্দনগর এলাকার বিলে, সালামাবাদ ইউনিয়নের ভাউরীর চরে আর উপজেলার অন্যতম বৃহৎ ‘ভক্তডাঙ্গা’ বিলের অসংখ্য মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় মাচায় বিশেষ জাতের বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে।

এসব জাতের মধ্যে রয়েছে এশিয়ান-২, তৃপ্তি ও বস্ন্যাক বেবি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসবের মধ্যে এশিয়ান-২ বাংলাদেশী জাত। এসব জাতের তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। বিশেষ করে তৃপ্তি জাতের তরমুজ বেশি সুস্বাদু। এই তরমুজ চাষে খরচ কম, একর প্রতি মাত্র ১৫-২০ হাজার টাকা, কিন্তু বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বাজার দরও বেশ চড়া থাকায় কৃষকও খুশি।


বিজ্ঞাপন


তরমুজ চাষে সফল জেলার নবগঙ্গা ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কালিয়া উপজেলার ভাউরীর চরের বাসিন্দা শেখ কামাল হোসেন।

তিনি জানান-উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় খুলনার ডুমুরিয়া থেকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিয়ে গত বছর গাছবাড়িয়া বিলের ৭ একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে এক হাজারটি চারা রোপণ করে ২ লাখ টাকা লাভ করেন। এবার তিনি ৭ একর মৎস্য ঘেরের পাড়ে এক বিঘার মতো জমিতে তরমুজ আবাদ করেছেন। তার মোট খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। আর এবার আশা করছেন ৪ লাখ টাকা বিক্রয় হবে।

hg

আরেক চাষি কালিয়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার বর্মণ জানান, ১৫০ বিঘা মৎস্য ঘেরের পাড়ে ১২ হাজার চারা রোপণ করে খরচ হয়েছে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা। ২ লাখ কেজি তরমুজের ফলন হওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি। বাজারমূল্য ঠিক থাকলে ৪০-৫০ টাকা পাইকারি কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে তিনি প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাভ করতে পারবেন।

কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইভা মলিস্নক বলেন, তরমুজ এখন আর মৌসুমি ফল নয়, সারা বছরই তা চাষ করা যায়। বীজ বপনের মোট ৮০-৯০ দিনেই ফসল সমাপ্ত করা যায়। এ উপজেলায় প্রথম উচ্চ ফলনশীল ফসল হিসেবে এই তরমুজ চাষে ব্যাপক সাফল্য এসেছে।

d

নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপক কুমার রায় বলেন, কালিয়ায় অফ সিজন তরমুজ চাষে কৃষকরা সফল। তারা খরচের ৬ গুণ লাভ পাচ্ছেন।

প্রতিনিধি/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর