গাজীপুরের পূবাইলে আট বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগে আব্দুল্লাহ ফকির ওরফে আবদুল্লাহ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৫ জুলাই) ভোরে পূবাইলের মাজুখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
২০ বছর বয়সী গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ ফকির ওরফে আব্দুল্লাহ বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানাধীন কাচনা এলাকার বাসিন্দা। তিনি মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত বুধবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয় মাদরাসাছাত্রী শিশুটি; এরপর সে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বজনরা তার সন্ধান পাননি। এর একদিন পর স্থানীয় বাঘেরটেক এলাকায় একটি ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে; নিখোঁজের বাবা গিয়ে তা শনাক্ত করেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পূবাইল থানায় হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে একটি মামলা করেন শিশুটির বাবা।
মামলার একদিন পর পুলিশ আব্দুল্লাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পূবাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন কুণ্ডু বলেন, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আব্দুল্লাহ জানান, ঘটনার দিন ওই শিশুটি ছাড়াও প্রতিবেশী আরেক শিশু এবং তিনি ওই ডোবার পানিতে গোসল করতে নামে। প্রতিবেশী শিশুটি গোসল শেষে বাড়ি ফিরে যায়। মাদরাসাছাত্রী শিশুটি ও তিনি (আব্দুল্লাহ) ডোবার পানিতেই ছিলেন। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ শিশুটিকে জোর করে ডোবার পাড়ের নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সে সময় ডোবার অপরপ্রান্তে মানুষের চলাচলের শব্দ পেয়ে শিশুটিকে ডোবার পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান আব্দুল্লাহ।
পূবাইল থানার ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিনিধি/এইচই
