রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ছোবল দেওয়া বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপ হাতে হাসপাতালে কৃষক

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩ জুলাই ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ছোবল দেওয়া বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপ হাতে হাসপাতালে কৃষক

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে পাটক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন জাহিদ প্রামাণিক (৩০) নামের এক কৃষক। এসময় তার ডান হাতের আঙ্গুলে কিছু একটা কামড় দেয়। কামড় দেয়া অংশে জ্বালাপোড়া করতে থাকে। তখন তিনি সেখানে ডোরাকাটা রং এর একটি সাপ দেখতে পান। সাথে সাথেই সাপটিকে মেরে ফেলেন তিনি। এরপর সাপ হাতে নিয়েই চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানকার হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

সোমবার (৩ জুলাই) সকাল আটটার দিকে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে জাহিদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।


বিজ্ঞাপন


কৃষক জাহিদ প্রামাণিক ওই এলাকার মাদু প্রামাণিকের ছেলে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, সাপটি আকারে খুবই ছোট। সাপটির পেট বেশ ফোলা। ধারণা করা হচ্ছে, ছোবল দেওয়ার আগে সাপটি কিছু খেয়েছিল। এ জন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। কারণ, রাসেল ভাইপার একটি বিষধর সাপ। রোগীকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।

জাহিদ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। পাংশা থেকে তিনি বাসে করে কুষ্টিয়া আসেন। বেলা ১১টার তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে পলিথিনের ভেতর মরা সাপটি ছিল।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে জাহিদ প্রামাণিক বলেন, কাজ করার সময় সাপে কামড় দিয়েছিলো। সেসময় সাপটিকে মেরে ফেললাম। হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ঝিলঝিল করে জ্বলে যাচ্ছিল। তারপর সাপ মাইরি সাথে নিয়ে পাংশা হাসপাতালে যাই। সেখান থেকে কুষ্টিয়া পাঠালো। সাপটিকে এখনো সাথেই রেখে দিয়েছি।


বিজ্ঞাপন


প্রতিনিধি/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর