অনেকেরই ধারণা যে, বিমানে চেপে ভ্রমণ করা মানেই যেন বিলাসিতা। বিমানের কথা মনে হলেই, প্রথমে মনে আসে ঝকঝকে বিমান বন্দর, দারুণ পরিষেবা, দামি দামি খাবার, সুন্দর সুন্দর প্রসাধন, ঝকঝকে পোশাক ও সাজের লোকজন। এমনকি বিমান বন্দরের বাথরুমও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। যারা বিমানে চেপে প্রায়ই যাতায়াত করেন তাদের কথা অবশ্য আলাদা। না হলে বেশিরভাগ লোকজনেরই বিমান এবং বিমান বন্দর সম্পর্কে কিছু সঠিক আবার কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে।
কিন্তু জানেন কি, বিমান বা বিমান বন্দরে সবকিছুই যে দারুণ হবে তার কিন্তু কোনও মানে নেই। বিশেষ করে বিমানের ভেতরের খাবার বা পানীয় তো নয়ই। এরকম অনেক জিনিসই রয়েছে যেগুলো যতটা এড়িয়ে যেতে পারবেন ততই মঙ্গল।
বিজ্ঞাপন
বিমানের পানি
জেনে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন, তবে নিজের ভালোর জন্যই বিমানের পানি পানি না পান করাই ভালো। যদি বোতলজাত হয় তবে তা পান করতে পারেন। কেননা বিমানের পানির ট্যাঙ্কগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এই কারণে জলে জীবাণু জন্মাতে পারে। এই সতর্কতা বিমানকর্মীরাও দিয়ে থাকেন।
অ্যালকোহল পান করবেন না
মাটি ছেড়ে উপরে ওঠার সঙ্গা সঙ্গে ফ্লাইটে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। এ কারণেই বলা হয় যে বিমানে অ্যালকোহল পান করবেন না। অ্যালকোহল পান করলে শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞাপন
বিমানের খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো
অনেক সময় বিমানের খাবার খেয়ে শরীর খারাপ হয়ে যায়। আসলে বিমানে রাখা খাবারগুলো সবই প্রায়ই বাসী হয়। যদি প্যাকেটজাত খাবার পরিবেশন করা হয় তবে খেতে পারেন।
বিমানের কফি পান করবেন না
বিমানে পানি যদি পান না করেন তাহলে কফিও করবেন না। কারণ ওই জমা অপরিচ্ছন্ন পানি দিয়েই কফি তৈরি করা হয়। আর বিমানের ভিতর যদি অ্যালকোহল পান করে থাকেন তাহলে কফি পান তো একেবারেই করবেন না।
আপেল এবং কমলার মতো ফলও খাবেন না
ফ্লাইটে আপেল এবং কমলালেবুর মতো আঁশযুক্ত ফল না খাওয়াই ভালো। আপেল খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে। আবার কমলালেবুর কারণে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তাই ফ্লাইটে এগুলো না খাওয়াই ভালো।
কিছুই কি খাবেন না?
এর মানে এই নয় যে বিমানে আপনি কিছু খাবেন না। অনেক্ষণ না খাওয়ার ফলে ফ্লাইটে অনেক সময়ই রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে। এর পাশাপাশি যাত্রী মানসিক চাপের সমস্যাও হতে পারে। তাই হালকা কোনও খাবার খান।
সূত্র: এই সময়
এজেড