মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে রেহাই পেল ভারত ও নেপালের দুই বিমান। শুক্রবার মালয়েশিয়া থেকে কাঠমান্ডু আসছিল নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই একই সময়ে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের দিকে আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। হঠাৎই দুইটি বিমান কাছাকাছি চলে আসে।
শেষ মুহূর্তে সংঘর্ষ এড়ায় বিমান দুইটি।
এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিএএএন)। ঘটনার দুই দিন পর রিপোর্ট প্রকাশ করল ওই কমিটি।
বিজ্ঞাপন
কমিটির তদন্তে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) তিন কর্মীর কর্তব্যে গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে। যদিও দুই পাইলটের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় বিপদ এড়ানো যায়।
এটিসি ওই ৩ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে কাঠমান্ডু আসছিল নেপাল এয়ারলাইন্সের এ-৩২০ বিমান। ওই একই সময়ে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের উদ্দেশে আসছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ১৯ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নিচে নামছিল।
নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি প্রায় একই জায়গায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎই বিমান দুইটি কাছাকাছি চলে আসে। সংঘর্ষ এড়াতে নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে যায়। সংঘর্ষ হলে তো বটেই, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পর্বতে ঘেরা বিমানবন্দরে এত কম উচ্চতায় নেমে যাওয়ায় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।
বিজ্ঞাপন
এই ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে এটিসির তরফে গাফিলতি থাকার কথা জানানো হয়। কেন এত কম ব্যবধানে দুইটি বিমানকে যেতে দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
সূত্র: এবিপি
এজেড
