নির্মাণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় উড়োজাহাজ বা বিমান তৈরিতে। উড়োযান তৈরির খরচও বেশি। পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটি দেশ বিমান বানায়। এখনকার বিমানের মধ্যে অধিকাংশ বোয়িং এবং এয়ারবাস। মূলত এই দুইটি নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান সারাবিশ্বে চাহিদা মেটায়। চলুন জেনে নিই কোন কোন দেশ বিমান তৈরি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিজ্ঞাপন
বিমান নির্মাণে সবচেয়ে এগিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় যাত্রীবাহী বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান বোয়িং এই দেশেই উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আরও বেশকয়েকটি বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন— লকহিড মার্টিন, সিকরস্কাই এয়ারক্রাফট, সুইফট ইঞ্জিনিয়ারিং, গালফস্ট্রিম এরোস্পেস ইত্যাদি।
ফ্রান্স
বিমান নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— এয়ারবাস, ড্যাসল্ট এভিয়েশন, সাফরান, এটিআর, এরিয়ানস্পেস।
এয়ারবাস তৈরি হয় তিন দেশে
বিজ্ঞাপন
এয়ারবাস একটি মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান। এটিকে মূলত ইউরোপীয়ান বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ফ্রান্স ও জার্মানিতেই মূলত এটির নির্মাণ কাজ চলে। এর সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও স্পেন। মূলত এয়ারবাস প্রতিষ্ঠা করেন ফ্রান্স ও জার্মানির ৩ জন ইঞ্জিনিয়ার ও একজন রাজনীতিবিদ।
কানাডা
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানির পর সব ধরনের বিমান নির্মাণে এগিয়ে রয়েছে কানাডা। দেশটিতে বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে— বোম্বারডিয়ার, ভাইকিং এয়ার।
ব্রাজিল
বাণিজ্যিক বিমান নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানির পরেই রয়েছে ব্রাজিল। দেশটির সবচেয়ে বড় বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান এমব্রায়ার। বাণিজ্যিক বিমান নির্মাণে বোয়িং এবং এয়ারবাসের পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি বিমান নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন— ইতালির লিওনার্দো হেলিকপ্টার, এটিআর; চীনের কোমাক; সুইজারল্যান্ডের পিলাটাস এয়ারক্রাফট; ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড; জাপানের কাওয়াসাকি এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি, মিতসুবিশি এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন; রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন, রাশিয়ান হেলিকপ্টার ইত্যাদি।
এমএইচটি