আকাশপথে যাত্রী পরিবহনে বিশ্বজুড়ে বোয়িং এবং এয়ারবাস বিমান বেশ জনপ্রিয়। বোয়িং একটি আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল বিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এটি বিমান, রোটোরক্রাফট, রকেট ও স্যাটেলাইট নির্মাণ করে। ১৯১৬ সালে আকাশে যাত্রা করে এই কোম্পানিটি। সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমানের নির্মাতাদের মধ্যে বোয়িং অন্যতম।
এয়ারবাস একটি ইউরোপীয় বিমান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭০ সালে এই কোম্পানিটি যাত্রা শুরু করে। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এটি। এটি বাণিজ্যিক ও সামরিক বিমান তৈরি করে। এয়ারবাসের সদর দফতর নেদারল্যান্ডসে।
বিজ্ঞাপন
চলুন জেনে নিই বোয়িং এবং এয়ারবাসের মধ্যে পার্থক্য।
বিমানের সামনের অংশ
বিমানের সামনের নকশার মাধ্যমে খুব সহজেই বোয়িং ও এয়ারবাস বিমান চিনতে পারা যায়। এয়ারবাস বিমানেপ সামনের অংশটি গোলাকার। আর বোয়িং বিমানে এটি সূক্ষ্ম বা সরু আকৃতির।
ককপিটের পাশের জানালার নকশা
বিজ্ঞাপন
বোয়িং বিমানে ককপিটের পাশের জানালার নকশা ভি-আকৃতির (v-shape)। আর এয়ারবাস বিমানে এই জানালার নকশা খাঁজযুক্ত।
সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার
বোয়িং বিমানের সামনের ল্যান্ডিং গিয়ার এয়ারবাস বিমানের তুলনায় ছোট থাকে। আর এয়ারবাস বিমানের এই অংশ আকারে লম্বা থাকে।
পিছনের অংশের নকশা
এয়ারবাস বিমানের মূল কাঠামো লেজের দিকে সোজা থাকে। বোয়িংয়ের ক্ষেত্রে এটি মূল কাঠামোর সঙ্গে নীচে ঢালু হয়।
এক্সস্ট টেইল
বোয়িং এর ক্ষেত্রে এক্সস্ট টেইলের দৈর্ঘ্য কম হয়। এয়ারবাসের ক্ষেত্রে এটি লম্বা এবং রাউন্ড হয়।
আলো
সাধারণত বিমানের লেজের উপর আলো জ্বলে থাকে। বোয়িং বিমানের ক্ষেত্রে এই আলো একবার জ্বলে। আর এয়ারবাস বিমানের ক্ষেত্রে এই আলো পরপর দুইবার জ্বলে।
এমএইচটি