বাসে টিকিট কাটার সময় প্রায় সবাই জানালার পাশের সিট চান। অনেকেই মনে করেন বাম পাশের সিট নিরাপদ। এজন্য বাসের প্রথম দুই এক সারি বাদ দিয়ে টিকিট বুকি দেন। কেউবা মাঝের আসনগুলোকে নিরাপদ মনে করেন। বাসের মতোই হয়তো কেউ বিমানেও নিরাপদ আসন খোঁজেন।
পরিসংখ্যান বলছে সম্প্রতি বিশ্ব জুড়ে ১২টি বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অনেকেরই ধারণা, বাস বা ট্রেনের মাঝামাঝি বসলে এই ধরনের বিপদেও বোধ হয় প্রাণে বাঁচা যায়। কারণ, সামনে বা পেছন, বিপদ যে দিক থেকেই আসুক না কেন, মাঝে থাকা যাত্রীদের নাগাল পাওয়া ততটা সহজ নয়। কিন্তু বিমানের ক্ষেত্রেও কি এই একই ধারণা কাজে লাগে?
বিজ্ঞাপন
ভারতের এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ডগ ড্রুরি জানান, বিমানে আগুন লাগা বা বিমান ভেঙে পড়ার মতো অবাঞ্ছিত বিপদ থেকে প্রাণে বাঁচতে মাঝের আসনটিই সবচেয়ে নিরাপদ। অন্তত পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে।
‘সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড্রুরি বলেন, ‘ট্রেন হোক বা বিমান, বেশির ভাগ যাত্রীই জানলার পাশের আসনটিতে বসতেই পছন্দ করেন। কিন্তু সব দিক থেকে নিরাপদ মাঝের আসনটিই।’
বিমানের কোন আসন নিরাপদ?
বিলাসবহুল বিমান ছাড়া, সাধারণ মানের বিমানগুলোতে আসন ব্যবস্থা মোটামুটি এক। সেই ছক অনুযায়ী, তিনটি আসনের মাঝেরটি তো বটেই, এ ছাড়াও আপৎকালীন রাস্তার আগের সারিতে বসা নিরাপদ বলেই মনে করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ বা আগুন লাগার মতো ঘটনা বিরল নয়। বিভিন্ন দুর্ঘটনার সাক্ষী বিমানে ‘ব্ল্যাকবক্স’ থেকে জানা যায় দুর্ঘটনার কারণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ডানায় আগুন লেগে সেখান থেকে তা গোটা বিমানে ছড়িয়ে পড়ে।
ড্রুরি বলেন, ‘সাধারণত বিমানের ডানায় জ্বালানি ভরা থাকে। তাই তার কাছাকাছি কোনও আসনে না বসাই ভালো।’
এজেড

