মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

এয়ারবাস আনছে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত বিমান

ফাহিমা তুজ জোহরা
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৩ এএম

শেয়ার করুন:

এয়ারবাস আনছে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল চালিত বিমান

সম্প্রতি জনপ্রিয় এভিয়েশন কোম্পানি এয়ারবাস তাদের এ৩৮০ টেস্টবেডে হাইড্রোজেন ফুয়েলসমৃদ্ধ সেল ইঞ্জিন ফ্লাইট পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে। এর আগে তারা টারবোফ্যানে হাইড্রোজেন-ফুয়েলের ব্যবহার করতে চেয়েছিল।  

এয়ারবাস তাদের পরিবর্তিত এ৩৮০ টেস্টবেডে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইঞ্জিন ব্যবহার করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যে হাইড্রোজেন-ফুয়েল টারবোফ্যানে এটি করার লক্ষ্যও রয়েছে কোম্পানিটির।


বিজ্ঞাপন


planeদেড় বছর আগে টারবাইন ইঞ্জিনগুলোতে এয়ারবাস হাইড্রোজেন জ্বালানি  ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছিল তারা। অবশেষে সেই ঘোষণাও এলো। টারবোফ্যান  সদৃশ ইঞ্জিন ওজনে হালকা হয় এবং এ ধরনের ইঞ্জিন  বিমান চলাচলের জন্য বেশ উপযুক্ত। বর্তমানে এয়ারবাস তাদের সব ধরনের সুযোগ উন্মুক্ত রাখতে চায়।  যাতে  এই ধরনের  ফুয়েল সেল জ্বালানি সেল জলবায়ুর ওপর কম প্রভাব ফেলতে পারে।   ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে ফুয়েল সেল ইঞ্জিন পরীক্ষার সময়ও নির্ধারণ করেছে এয়ারবাস। 

এয়ারবাসের শূন্য কার্বন নিঃসরণ প্রকল্পের প্রধান গ্লেন লেওয়েলেন বলেন, উভয় প্রযুক্তিই তরল হাইড্রোজেন ব্যবহার করছে এবং দুটাই সমানতালে পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

উভয় প্রযুক্তিই তরল হাইড্রোজেন ব্যবহার করে এবং সমান্তরালভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে এটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। 

planeগ্লেন লেওয়েলেন বলেন, যদি প্রযুক্তিগত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়, তাহলে ফুয়েল সেল ইঞ্জিনের বিমান ১০০ যাত্রী নিয়ে ১০০০ নট্যিক্যাল মাইল পাড়ি দিতে পারবে।  আমরা আমাদের বাকি ব্যবস্থাগুলোও  উন্মুক্ত রেখেছি, যেখানে ভবিষ্যতে এটি  জিরো বিমানের স্থাপত্য নিয়ে  সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে, আর এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন আমরা ২০২৭-২৮ সালের মধ্যেই করতে চাই।


বিজ্ঞাপন


আশা করা যাচ্ছে, এই হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কম অবদান রাখবে, কেননা এতে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন অক্সাইডের উপস্থিতি নেই। এই টেস্ট ইঞ্জিন জার্মানির হামবুর্গে একসাথে রাখা হয়েছে। এটি ইলেকট্রিক মোটরের সাথে নির্ধারিত সাবসিস্টেম লেভেলে রয়েছে, যা এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

plane

এই টেস্ট ইঞ্জিন জার্মানির হামবুর্গে একত্রে স্থাপন করা হচ্ছে। এটি সাবসিস্টেম স্তরে মূল্যায়ন করা হয়েছে, বৈদ্যুতিক মোটর এখনও পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

জেট কোম্পানি এয়ারবাসকে এই কাজে সহায়তা করেছেন জ্বালানি সেল বিশেষজ্ঞ এলরিংক্লিংগার। ২০২০ সালে তারা এরোস্ট্যাক নামের এক যৌথ উদ্যোগ তৈরি করে। এ৩৮০ বিমানে ইন্সটল করার আগে মিউনিখে এয়ারবাসের ই-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম হাউস গ্রাউন্ড টেস্ট সেন্টারে সম্পূর্ণ ইঞ্জিন মূল্যায়ণ করবে। 

টেস্ট ইঞ্জিনের জন্য, হামবুর্গ দল সাবসিস্টেমগুলোকে আলাদা করে রেখেছে। কোম্পানি দক্ষ প্রকৌশলী দল এনেছেন, যারা ব্যাটারি ও এয়ারবাস হেলিকপ্টারসংক্রান্ত কাজের জন্য বিশেষভাবে দক্ষ। এছাড়া গিয়ারবক্সের কাজেও তারা সিদ্ধ, যা মোটর ও বিমানের পাখার সাথে সংযোগ ঘটায়।

h2টেস্ট ইঞ্জিনের জন্য, হ্যামবুর্গ দল সাবসিস্টেমগুলোকে আলাদা করে রেখেছিল। ইঞ্জিনিয়াররা কোম্পানির  স্পেস অ্যাক্টিভিটি থেকে এসেছে, ব্যাটারিতে তাদের দক্ষতার জন্য এবং এয়ারবাস হেলিকপ্টার, গিয়ারবক্সের জন্য যা মোটর এবং প্রোপেলারকে সংযুক্ত করবে।

তবে ওজনকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন জিরো ইমিশন এয়ারক্রাফটের ফুয়েল সেল প্রপালশন সিস্টেমের প্রধান হাউকে লুয়েডার্স। তিনি বলেন,  ভাল দক্ষতার উপর ভিত্তি করে পুরো সমীকরণটি  আরেকবার দেখা উচিত।

তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ওজন। শূন্য নির্গমন বিমানের জ্বালানি-সেল প্রপালশন সিস্টেমের প্রধান হাউক লুয়েডার্স মনে করেন, ভাল দক্ষতার উপর ভিত্তি করে পুরো সমীকরণটি দেখা উচিত।

এভিয়েশন উইক ডটকম অলম্বনে

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর