মিগ ২৯। শব্দটি বাংলাদেশে বেশ পরিচিত। কেননা, এই নামে বাংলাদেশে জঙ্গি বিমান আছে। শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বহরে রয়েছে এই বিমান। মিগ ২৯ রাশিয়ার তৈরি একটি চতুর্থ প্রজন্মের জঙ্গি বিমান। নির্ভরযোগ্য কার্যক্ষমতার জন্য এর ডাকনাম রাখা হয়েছে ফালক্রাম।
সত্তর দশকের প্রথম দিকে মিকোইয়ান ডিজাইন ব্যুরো এই জঙ্গি বিমানের নকশা তৈরি করেন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েট রাশিয়ার বিমান বাহিনী বহরে এই বিমান যুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন

এক নজরে মিগ ২৯
মিগ ২৯ এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২,৪৪৬ কিলোমিটার। এর পরিসর ১,৪৩০ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার। উচ্চতা ১৫ ফিট ৬ ইঞ্চি। খালি অবস্থায় ওজন ১১০০০ কেজি। বোঝাই অবস্থায় ওজন ১৬৮০০ কেজি। সর্বোচ্চ উড্ডয়ন ওজন ২১০০০ কেজি
বিামনটির শক্তির উৎস দুইটি ক্লিমোভ আরডি-৩৩কে আফটার বার্নিং টার্বো ফ্যান।
বিজ্ঞাপন
সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ২৪৪৫ কিলোমিটার। পাল্লা ৭০০ কিলোমিটার।
বিমানটি তৈরি করেছে রাশিয়ার মিকোয়ান নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই বিমানে ক্লিমভ আরডি-৩৩ মডেলের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।
কেন এত জনপ্রিয়?
মিগ ২৯ চতুর্থ জেনারেশনের সুপারসনিক জেট ফাইটার। সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি জেট ফাইটারের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত মিগ ২৯। এটাকে সোভিয়েতদের স্টেট অব আর্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বিমান সকল প্রকার আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী। এটি ভূমিতে হামলার জন্যও উপযোগী। দীর্ঘদিন ইউরোপিয়ান কান্টিগুলোর ফিয়ার ফ্যাক্টর ছিল এই মিগ ২৯।

অস্ত্রসমূহ
মিগ ২৯ বিমানে বেশ কয়েটি যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ১X৩০মিমি জিএসএইচ-৩০-১ কামান। যাতে ১৫০ রাউন্ড গোলা রয়েছে। আরেকটি অস্ত্র হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫০০ কেজি ওজনের অস্ত্র ৬টি অ্যান্টি এয়ার ক্রাফট মিসাইলস।
যেসব দেশ ব্যবহার করে
মিগ ২৯ বিমান ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে বিমানটি ব্যবহার করছে- বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুলগেরিয়া, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া, পেরু, উত্তর কোরিয়া, পোল্যান্ড, রাশিয়া, স্লোভাকিয়া, সিরিয়া এবং ইউক্রেন।

১৯৭৭ সালে মিগ ২৯ উড্ডয়ন করলেও এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। বর্তমানে সারা পৃথিবীতে এই বিমানের সংখ্যা ১৬০০ এর বেশি। যার বেশির ভাগ ব্যবহারকারী রাশিয়া।
মিগ ২৯ এর জনপ্রিয়তার পরে রাশিয়ার বিমান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিকোয়ান মিগ সিরিজে আরো বিমান তৈরি করে।
এজেড

