শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিমানের আরামদায়ক ও নিরাপদ আসন কোনটি?

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ০৪:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

বিমানের আরামদায়ক ও নিরাপদ আসন কোনটি?

বাসের মতো বিমানেও কি নিরাপদ আসন রয়েছে? এমন প্রশ্ন হয়তো অনেকের মনেই উঁকি দেয়। 

বাসে টিকিট কাটার সময় প্রায় সবাই জানালার পাশের সিট চান। অনেকেই মনে করেন বাম পাশের সিট নিরাপদ। এজন্য বাসের প্রথম দুই এক সারি বাদ দিয়ে টিকিট বুকি দেন। কেউবা মাঝের আসনগুলোকে নিরাপদ মনে করেন।  


বিজ্ঞাপন


বাসের মতোই হয়তো কেউ বিমানেও নিরাপদ আসন খোঁজেন। যদিও বিমানে আসন আগে ভাগে নির্ধারণ করা কঠিন। বোডিং পাসে আসন নম্বর উল্লেখ করা থাকে। 

planeবিমানে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা চান আরামদায়ক আসন। যেখানে সে পা ছড়িয়ে বসতে পারবেন। সবারই পছন্দ জানালার পাশের আসন। কেননা, জানালার পাশে বসলে বিমান ওঠা-নামা দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় মেঘেদের ওড়াউড়ি কিংবা আকাশ থেকে ভূমি দেখা যায়। 

বিমানের আরামদায়ক আসন

বিমানে আপনি আরামদায়ক আসন খুঁজলে আপনাকে বিজনেস ক্লাশের টিকিট কাটতে হবে। সেক্ষেত্রে সিট আরামদায়ক হবে কিন্তু টিকিট কিনতে হবে অনেক বেশি দামে।  


বিজ্ঞাপন


নিরাপত্তার দিকটি যদি ভাবেন, তাহলে হয়তো ভাবছেন দরজার কাছের সিটটিই আপনার জন্য সব চাইতে ভালো। আসলেই কি তাই ?

বিমান তো বাস নয়, চাইলেই আপনি টুপ করে নেমে যেতে পারবেন না। তাই দরজা বা জানালা যেখানেই বসুন না কেন, আপনার জন্য সেটা বিশেষ কিছু না। 

তাই আসুন পরিসংখ্যানের দিকে একটু নজর দেই।  

plane

বিমানের নিরাপদ আসন

১৯৮৫ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিমান দুর্ঘটনা এবং মৃত্যুর দিক বিবেচনায় ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী বসার জন্য সবচেয়ে খারাপ জায়গা হল প্লেনের মাঝখানে। কেবিনের মাঝখানে আসনগুলোতে মৃত্যুর হার ৩৯%, যেখানে সামনের অংশে ৩৮% এবং পিছনের অংশে ৩২% ছিল৷ 

‘পপুলার মেকানিক্স‘ ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড ক্রাশ ডেটার মাধ্যমে খুঁজে বের করে দেখতে পায় যে, উইংয়ের পিছনের আসনগুলোর বেঁচে থাকার হার ছিল ৬৯%, যেখানে সামনের আসনগুলোতে বেঁচে থাকা ভাগ্যবান ছিলেন ৪৯%। আর যারা মাঝে ছিলেন, তাদের ভাগ্য ৫৬% সু-প্রসন্ন ছিল।  

planeআপনি যদি মনে করেন বিমানে নির্দিষ্ট সারিতে বা আসনে বসলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম, তবে আপনি ভুল ধারনা নিয়ে আছেন। বিমান  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানে কোনো সিট-ই ক্র্যাশের সময় আপনাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে পারবে না। 

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর