বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিমানবালা হতে চেয়েছিলেন নম্রতা কিন্তু এখন কর্মহীন

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০১:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

বিমানবালা হতে চেয়েছিলেন নম্রতা কিন্তু এখন কর্মহীন

হাই স্কুলে পড়াকালে ভেবেছিলেন বিমানবালা হবেন। পরিপাটি সাজগোজের বিমানবালারা তাকে আকষর্ণ করত। সেবার মনোভাব নিয়ে এই পেশায় নিজেকে জড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ হয়েছেন চিত্রনায়িকা। কিন্তু সেখানেও পাকপাকি জায়গা করে নিতে পারেননি। একটা সময় যাকে হররোজ রূপালী পর্দায় দেখা যেত, তিনি এখন কর্মহীন। বলা হচ্ছে বলিউডের একসময় জনপ্রিয় মুখ নম্রতা শিরোদকরের কথা।

এক সময় সঞ্জয় দত্ত, অনিল কাপুর, সাইফ আলী খান, অজয় দেবগনের মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নম্রতা। বর্তমানে বলিউড  থেকে অনেক দূরে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


nomrota

‘পুকার’ ছবির কথা মনে পড়ে? ২০০০ সালে রাজকুমার সন্তোষীর পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। অনিল কাপুর, মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন নম্রতা।

কিন্তু শুরুর দিকে অভিনয় পেশাকে বেছে নেননি নম্রতা। তার স্বপ্ন ছিল বিমানবালা হবেন। ঘটনাচক্রে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি।

১৯৭২ সালে মহারাষ্ট্রের গোয়ানিজ পরিবারে জন্ম নম্রতার। তার ঠাকুরমা মীনাক্ষী শিরোদকর অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


পাঁচ বছর বয়সে শিশু অভিনেতা হিসাবে শত্রুঘ্ন সিন্‌হার সঙ্গে ‘শির্ডি কে সাঁই বাবা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন নম্রতা।

nomrotaছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন। কিন্তু তার বোন শিল্পার স্বভাব-চরিত্র ছিল একদম তার বিপরীত। পড়াশোনায় মন ছিল না শিল্পার। তার ঝোঁক ছিল অভিনয়ের প্রতি। 

নম্রতা চাইতেন আকাশে পাড়ি দিতে। তার স্বপ্ন ছিল বিমানসেবিকা হওয়ার। তার জন্য পরীক্ষাও দিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষায় পাশের খবর বাড়িতে জানালে তার মা এই পেশায় কাজ করতে মানা করেন নম্রতাকে।

অবিলম্বে দুই বোনের পোর্টফোলিয়ো শুট করা হয়। শিল্পা অভিনয় করবেন বলে অডিশন দিতে শুরু করেন। নম্রতার পোর্টফোলিয়ো তৈরি করা হয় মডেল হিসাবে।

এক নামী পোশাকশিল্পী নম্রতার ছবি দেখে পছন্দ করেন এবং মডেলিং জগতে খুব দ্রুত খ্যাতি অর্জন করে ফেলেন নম্রতা।

nomrota

বহু জনপ্রিয় হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার পাশাপাশি কন্নড়, মালয়ালম, তেলুগু, মরাঠি ভাষার বিভিন্ন দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে নম্রতাকে।

অভিনয় সূত্রে মহেশ বাবু এবং নম্রতার বন্ধুত্ব হয়। অচিরেই সেই বন্ধুত্ব প্রণয়ের সম্পর্কে পরিণত হয়। মহেশ চাইতেন না, তাদের সম্পর্কের আঁচ কেরিয়ারে কোনও প্রভাব ফেলুক। 

মহেশের চেয়ে চার বছরের বড় ছিলেন নম্রতা। এই নিয়ে অনেকে কটু কথা বলতে পারেন ভেবেও কাউকে সম্পর্কের কথা জানাতে চাননি মহেশ।

দীর্ঘকালীন সম্পর্কে থাকার পর ২০০৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মহেশ এবং নম্রতা। বলিপাড়ার একাংশের দাবি, মহেশ নাকি বিয়ের আগে শর্ত রেখেছিলেন যে, বিয়ে করলে তাঁকে অভিনয় জগৎ থেকে পুরোপুরি সরে যেতে হবে। নম্রতা নাকি এই শর্তে রাজি হয়ে বিয়ে করেন মহেশকে।

nomrotaকেউ কেউ মনে করেন, মহেশের কারণে নয়, বরং ইন্ডাস্ট্রিতে তখন রাতারাতি বদল আসায় বলিপাড়া থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন নম্রতা। 

অনেকের ধারণা, যে অভিনেত্রীরা নাচে দক্ষ, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে যাদের সমস্যা নেই, তাদের কাজ দেওয়া হচ্ছিল। সেই পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবেন না বলে স্বেচ্ছায় অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি নম্রতা।

বিয়ের এক বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন নম্রতা। তারও কয়েক বছর পর মহেশ এবং নম্রতার ঘর আলো করে কন্যাসন্তান আসে। বর্তমানে নম্রতা আলোর রোশনাই থেকে দূরে, নিজের সংসার নিয়েই ব্যস্ত রয়েছেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর