বিমান আকাশে ওড়ার জন্য সাধারণত দুইটি ইঞ্জিন থাকে। আশ্চর্যজনক তথ্য হচ্ছে বিমান ওড়ার জন্য একটি ইঞ্জিনই যথেষ্ট।
বাণিজ্যিক বিমানে দুইটি ইঞ্জিন থাকে। দুইটি ইঞ্জিন বিমানের রেঞ্জ আর ফুয়েল ফুয়েল ইফেসিয়েন্সি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সত্যি বলতে বিমানগুলো শুধুমাত্র একটা ইঞ্জিন দিয়েও খুব ভালোভাবেই উড়তে পারে।
বিজ্ঞাপন
আকাশে উড়োজাহাজের শব্দ শুনে আপনি কি এখনো ছোটবেলার মত উপরের দিকে তাকান? অনেকেই হয়ত নিজের অজান্তেই কাজটি করে থাকেন। আকাশে ভেসে বেড়ানো প্লেনগুলো কিন্তু একদিনেই এত উচ্চতায় ওঠেনি! দিনের পর দিন গবেষণার ফলে উড়োজাহাজ আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রাথমিক সময়ের আর আজকের উড়োজাহাজের মাঝে অনেক তফাত।
আগেকার বিমানগুলোতে একটি ইঞ্জিন থাকত। এই ইঞ্জিন বসানো হতে বিমানের নাকের ডগায়। কিন্তু এখানকার বিমানের ইঞ্জিন থাকে ডানায়। দুই ডানায় দুই ইঞ্জিন।
বিমান যেভাবে ওড়ে
বিমানের উইং বা ডানায় জেট ইঞ্জিনচালিত কম্প্রেসর ঘুরলে বাইরের বায়ু প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিনের ভিতরে প্রবেশ করে। ইঞ্জিনে দুইটি চেম্বার থাকে। একটি কম্বাশসন চেম্বার, অন্যটি এয়ার চেম্বার।
বিজ্ঞাপন
এই দুই চেম্বার থেকে প্রচন্ড বেগে বের হওয়া এক্সহস্ট গ্যাস পেছনের বায়ুতে আঘাত করে, ফলে নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে পিছনের বায়ু থার্স্ট প্রয়োগ করে বিমান কে সামনের দিকে চলতে সাহায্য করে।
আধুনিক জেট বিমানে প্রপেলার থাকে না। তাহলে বিমান কীভাবে উড়ে?
বিমান ওড়ে নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র অনুযায়ী। এর লম্বা নলে হাওয়া ভর্তি করে তা সরু পথে বের করা হয়, হাওয়া তীব্রভাবে বিমানের পিছন দিক থেকে বেরিয়ে গেলে বিমান হাওয়ার চাপে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
আধুনিক জেট-বিমান র্যাম জেট, প্রপ জেট, টারবো জেট এই তিন রকম হয়। রকেটও অনেকটা জেট-বিমানের মত, তবে এর ভেতরেই নিজস্ব অক্সিজেন থাকে, জেটের মত বাইরে থেকে হাওয়া সংগ্রহ করতে হয় না।
এ কারণেই বিমানের ডানায় ইঞ্জিন স্থাপন করা হয়।
বোয়িং বিমানের ইঞ্জিন
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিমান তৈরি করে বোয়িং কোম্পানি। একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার একটি ইঞ্জিন ব্যবহার করে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা টানা উড়তে পারে।
আরেকটা মজার ব্যাপার হলো, চলন্ত অবস্থায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয় গেলেও একটি বোয়িং ৭৪৭ প্লেন অনেক লম্বা দূরত্ব যেতে পারে যা জরুরি নিরাপদ অবতরণের জন্য যথেষ্ট। একে গ্লাইডিং বলে।
এজেড

