চলতি পথে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে বাস-ট্রেন কিংবা অন্যান্য যানবাহন রিফুয়েল করে। অর্থাৎ পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি ভরে নেয়। কিন্তু মাঝ আকাশে যদি বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যায় তবে কী ঘটবে?
প্রথমেই জেনে নেওয়া ভালো, একটি বিমান যখন বন্দর থেকে তার গন্তব্যের দিকে যাত্রা করে তখন পর্যাপ্ত জ্বালানি ভরে নেওয়া হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমানের যতটুকু জ্বালানির প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি জ্বালানি ভরে দেওয়া হয়। তাই মাঝ আকাশে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার আশংকা নেই বললেই চলে।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু তারপরও মাঝআকাশে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত যুদ্ধ বিমানগুলো মঝ আকাশে অন্য একটি ট্র্যাংকার বিমান থেকে ফুয়েল ভরা হয়।
সাধারণত আন্তঃদেশীয় যুদ্ধে আকাশে রিফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা থাকে।
মাঝ আকাশে যদি বিমানের জ্বালানি ফুরিয়েও যায় তবুও বিমান কিছু সময় আকাশে ভেসে থাকতে পারবে। এমনকি গ্লাইডিং করে নিরাপদ স্থলে অবতরণও করতে পারবে।
আকাশে জ্বালানি ফুরালো বলে টুপ করে বিমান মাটিতে পড়ে যাওয়ার আশংকা নেই। উড়তে থাকা বিমানের ইঞ্জিনে যদি যান্ত্রিক ক্রুটি দেখাও যায়ও, তবুও বিমান ভূমিকে অবতরণ করতে সক্ষম।
বিজ্ঞাপন
একটি কাগজের প্লেন যেমন ইঞ্জিন না থাকা সত্ত্বেও উড়তে পারে। সঠিক ডিজাইন করতে পারলে ভূমিতে গোঁত্তা না খেয়ে মসৃণভাবে অবতরণ করতে পারে। তেমনি বৃহৎ যাত্রীবাহী বিমানের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য।
এমনকি ইঞ্জিন না-চলা অবস্থাতেও পাইলট প্লেনের গতি ডাইনে-বাঁয়ে তো বটেই এমনকি একটা সীমার মধ্যে উপর-নীচেও পরিবর্তন করতে পারেন।
ইঞ্জিনবিহীন প্লেনও অনেকেই দেখেছেন। যাকে বলা হয় গ্লাইডার। একজন দক্ষ গ্লাইডার পাইলটরা ইঞ্জিন ছাড়াই এই উড়োযানটি নিয়ে আকাশে মাইলের পর মাইল উড়তে পারেন।
এজেড

