আমেরিকা থেকে মেক্সিকোগামী একটি বিমানে মহিলা সহযাত্রীদের ফোনে নিজের নগ্ন ছবি পাঠাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। এ হন কাজ বন্ধ না করলে বিমান চালাবেন না বলে হুমকি দেন পাইলট। তাতেই কাজ হয়।
তিগলর মার্সালি বলে এক মহিলা যাত্রী দুই বান্ধবীর সঙ্গে উঠেছিলেন আমেরিকার হিউস্টন থেকে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসগামী ‘সাউথ ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সে’র’ একটি বিমানে। বিমান ছাড়ার মুখে হঠাৎ করেই তাদের ফোনে একটি বার্তা আসে। সেখানে কিছু ছবি দেখানোর অনুরোধ করেন অজ্ঞাতপরিচয় এক যাত্রী। মার্সালি প্রস্তাব গ্রহণ না করলেও তার দুই বান্ধবী ছবিগুলো দেখতে রাজি হয়ে যান। দেখা যায় এক পুরুষ সহযাত্রী নিজের নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন। পুরো বিষয়টি বিমানসেবিকাদের জানান তারা। আর সেই খবর বিমানকর্মীরা দেন পাইলটকে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি শুনেই নড়েচড়ে বসেন পাইলট। তিনি রীতিমতো বিমানের মাইকে ঘোষণা করে বলেন, অবিলম্বে নগ্ন ছবি পাঠানো বন্ধ করুন, নয়তো আমি বিমান ঘুরিয়ে ফিরে যাব। যারা ঘুরতে যাচ্ছেন, তাদের সবার ছুটি নষ্ট হয়ে যাবে।’
পাশাপাশি পাইলট বিমান থেকে সব যাত্রীকে নামিয়ে প্রশাসনে খবর দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন। তার কড়া বার্তা পেয়ে ওই যাত্রী তড়িঘড়ি ছবি পাঠানো বন্ধ করে দেন। গোটা বিষয়টি ভিডিও করছিলেন মার্সালি। ভিডিওটিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি কেবল খুনসুটি করছিলেন।
নিজের ছবি এই ভাবে আশপাশের লোকজনের মোবাইলে পাঠানোকে বলে ‘সাইবার ফ্ল্যাশিং’। এয়ার ড্রপ নামের এক ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ছবি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ফোনে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। চাইলে অজ্ঞাতপরিচয় কারও ফোনেও পাঠানো যায় ফাইল। এই প্রযুক্তিরই অপব্যবহার করছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী।
এজেড
