শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

১৮ মাসের চেষ্টায় ঘরে বসে বানালেন বিমান, ঘুরলেন ইউরোপ

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২২, ১১:২৯ এএম

শেয়ার করুন:

১৮ মাসের চেষ্টায় ঘরে বসে বানালেন বিমান, ঘুরলেন ইউরোপ

মনে পড়ে ২০২০ সালের কথা? ঊর্ধ্বমুখী করোনার কারণে গোটা বিশ্ব তখন ঘরবন্দি। প্রায় সব দেশেই চলছিল লকডাউন। এই সময়টা কাজে লাগাতে কত কিছুই না করেছে মানুষ। কেউ রান্না শিখেছেন, কেউবা অনলাইন কোর্স করেছেন। অশোক আলিসেরিল থামরাক্ষন যা করেছেন তা চোখ কপালে তোলার মতো। 

ভারতের কেরালার বাসিন্দা অশোক। পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে তার বাস। সবসময় নিজের স্ত্রী আর দুই কন্যাকে নিয়ে ভ্রমণের জন্য একটি ছোট বিমানের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। বর্তমানে অশোক একটি চার আসনের বিমানের মালিক। তবে কেনা নয়, নিজেই এটি তৈরি করেছেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


aircraftপেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অশোকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুরু হয় ২০২০ সালে লকডাউনের সময়। ঘরে থাকার সময়টা তিনি ব্যয় করতে শুরু করেন বিমান বানানোর কাজে। প্রায় ১৮ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে সফল হয়েছেন অশোক। স্লিং টিএসআই মডেলের একটি বিমান তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। সেই বিমানে চড়ে পরিবারকে নিয়ে ঘোরার স্বপ্নও সত্যি করেছেন। 

বিধায়ক এভি থামারাক্ষণের ছেলে অশোক পলক্কড় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি.টেক শেষ করার পর ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডে যান স্নাতকোত্তরের জন্য। সেখানে স্ত্রী আর দুই সন্তানকে নিয়ে সেটেলড হন তিনি। 

aircraftলকডাউনের শুরুতে বিমান তৈরির পরিকল্পনা করেন অশোক। ২০১৮ সালে পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিলেন অশোক। দুই আসনবিশিষ্ট বিমান চালাতেন তিনি। কিন্তু পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে গেলে চার আসনের বিমান চাই। লন্ডনের মতো জায়গায় যা ছিল বেশ ব্যয়বহুল। সেই চিন্তা থেকেই নিজে বিমান বানানোর কথা ভাবেন অশোক। স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে অল্প অল্প করে অর্থ সঞ্চয় করেন। 

ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানটি তৈরি করা হয়। জোহানেসবার্গ ভিত্তিক স্লিং এয়ারক্রাফ্ট থেকে অশোক তার বিমানের জন্য অ্যাসেম্বলি কিট কিনেছিলেন। ইউকে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বিমানটি নির্মাণের তত্ত্বাবধান করেছিল।


বিজ্ঞাপন


aircraft
 ছোট মেয়ে দিনার নামে নিজের বানানো বিমানটির নামকরণ করেন অশোক। এর নাম দেন ‘জি-দিয়া’। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, চেকপ্রজাতন্ত্র-সহ ইউরোপের বহু দেশে সপরিবার সফর করেছেন বিমানটি দিয়ে। কিছু সফরে সঙ্গী হিসেবে বন্ধুরাও ছিলেন। 

ছুটিতে ভারত আসার অপেক্ষায় আছেন তিনি। অশোকের আশা, নিজের তৈরি বিমানে ভারতের আকাশে ওড়ার অনুমতিও যেন তিনি পান। স্বামীর এ কাজে স্ত্রী বেশ খুশি। তিনি জানান, গত দুই বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে অশোক, বিমানটি তৈরির জন্য। খুশি কন্যারাও। এর আগেও বিমানে চড়েছে তারা। তবে পাইলট যখন বাবা তখন আনন্দ বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর