শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিমানের খাবার কোথায় রান্না হয়?

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই ২০২২, ১২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিমানের খাবার কোথায় রান্না হয়?

বিমানে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে একেক কোম্পানি একেক আয়োজন করে থাকে। বিমানে যাত্রীদের স্ন্যাঙ্কস থেকে শুরু করে ভারী খাবার দেওয়া হয়। কেউ কেউ নিজস্ব ক্যাটারিং এর মাধ্যমে এসব খাবার প্রস্তুত করে। কেউবা রেডিমেড খাবার কেনে। 

রাশিয়ার কেবল দুটি এয়ারলাইন তাদের যাত্রীদের জন্য খাবার প্রস্তুত করে। এগুলো হলো ইউটায়ার আর অ্যারোফ্লট। বাকিরা রেডিমেড খাবার পরিবেশন করে থাকে। ইউটায়ার কীভাবে তাদের যাত্রীদের জন্য খাবার প্রস্তুত করে? জানুন বিস্তারিত।


বিজ্ঞাপন


foodনিজেদের ফ্লাইট ছাড়াও সারগাট শহর ছেড়ে ছেড়ে যাওয়া অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলির জন্যও খাবার তৈরি করে ইউটায়ার। ক্যাটারিং ফ্যাক্টরিতে বেশ কয়েকটি বিভাগ রয়েছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এখানে খাবার রান্না করা হয় এবং তা প্যাকেটজাত করে যাত্রীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। 

এখানে মাছ, মাংসের জন্য নির্দিষ্ট কক্ষ থাকে। সেখান থেকে মেন্যু বা প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ বা মাংস সংগ্রহ করে নেওয়া হয় পরবর্তী ধাপের জন্য। তাপের মাধ্যমে দ্রুত এগুলোর বরফ ছাড়ানো হয় এবং কাটাকাটি করা হয়। 

foodপাশের কক্ষে থাকে সবজি। আলু, পেঁয়াজ, রসুন মতো শুকনো বাজার থাকে। আবার কাঁচা বাজারও থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী সবজি সেখান থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। বেকিং সম্পর্কিত খাবার বা উপাদান থাকে আরেকটি রুমে। ময়দা, চিনি, ডিম এসব মেলে সেখানে। এই কক্ষটিতে বন রুটি, মাফিন, মিষ্টান্ন ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়। এখানে বেশ কয়েকটি ওভেনও থাকে। 

স্ন্যাকসের বিভাগে যারা থাকেন তারা ব্যস্ত সময় পার করেন বার্গার, স্যান্ডউইচ ইত্যাদি খাবার তৈরি করে। এখানে বিভিন্ন পিকেল, অলিভ, প্রক্রিয়াজাত মাংস ইত্যাদির সেট সাজানো থাকে। মেন্যু অনুযায়ী উপাদানে খাবার প্রস্তুত করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


foodযেকোনো খাবার রান্নার পর বিশেষ বক্সে নেওয়া হয়। সিল করা প্যাকেজে তা প্যাক করা হয় যেন বাতাস প্রবেশ না করে। আবার ঠান্ডা পরিবেশে রাখতে হয় এমন খাবারের জন্য বিশেষ তাপমাত্রার কেবিনেটও রয়েছে। সেখানে খাবার রাখলে সঙ্গে ছোট্ট একটি নিবন্ধন কার্ড জুড়ে দেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে। 

খাবার রান্না আর প্যাকেট করা শেষ হলে সরবরাহের পালা। একটি বিশেষ বিভাগে গাড়ি ও অন্যান্য সমস্ত পুনঃব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং পাত্র ধুয়ে ফেলা হয়। জীবাণুমুক্ত করে ধাতব পাত্রগুলো শুকিয়ে প্যাকেটজাত ও লেবেলযুক্ত খাবার রাখা হয়। এরপর সিল করা হয়। 

foodমজার বিষয় হলো, এখানে যে খাবার প্রস্তুত করা হয় সেগুলোর জীবনসীমা মাত্র ৩ ঘণ্টা। ধরুন, কোনো ফ্লাইট নির্দিষ্ট সময়ে পৌছাল না। এদিকে ৩ ঘণ্টা পার পার হয়ে গেল। এক্ষেত্রে সব খাবার নষ্ট করে ফেলা হবে এবং নতুন করে আবার রান্না করা হবে। তবে বিমান ছাড়তে দীর্ঘ সময় দেরি হলে তা আগেই তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

নিজস্ব ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের জন্য যেসব বিমান কোম্পানি খাদ্য প্রস্তুত করে তাদের বেশিরভাগ ইউটায়ারের মতোই নিয়ম মেনে চলে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর