শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

সবচেয়ে বিপজ্জনক ৩ বিমানবন্দর

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২, ১১:৩৫ এএম

শেয়ার করুন:

সবচেয়ে বিপজ্জনক ৩ বিমানবন্দর

ধরুন বিমানে বসে আছেন আপনি। ঘনিয়ে এসেছে অবতরণের সময়। নিচে তাকিয়ে দেখলেন একদম অল্প জায়গাজুড়ে রয়েছে রানওয়ে। এমনটা হলে গলা শুকিয়ে আসাই স্বাভাবিক। বিশ্বের অসংখ্য সুন্দর বিমানবন্দর যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিপজ্জনকও। স্বল্পদৈর্ঘ্যের রানওয়ে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা সম্পন্ন কিছু বিমানবন্দর রয়েছে যাতে অবতরণের সময় আত্মা খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়। এমন তিনটি বিমানবন্দর সম্পর্কে জানুন। 

প্রিন্সেস জুলিয়ানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর


বিজ্ঞাপন


ক্যারিবিয়ান দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দর এটি। অন্যতম ব্যস্ত এয়ারপোর্ট। এখানে অবতরণ করতে পাইলটদের বেশ সতর্ক থাকতে হয়। মাথায় জটিল বিষয়গুলো রাখতে হয়। এই বিমানবন্দরটির মোট দূরত্ব খুবই কম। 

airportপ্রিন্সেস জুলিয়ানা বিমানবন্দরে ঠিকঠাকভাবে অবতরণ করতে পাইলটদের প্রথমে সমুদ্র সৈকতের কিছু ছোটো অংশ পার হতে হয়। এরপর সুরক্ষা বেড়া, তারপর কয়েকটি রাস্তা। এগুলো পার করে প্রবেশ করতে হয় রানওয়েতে। পড়তে সহজ লাগলে কাজটি কিন্তু বেশ দুরূহ। নিরাপদে অবতরণ করতে এখানে পাইলটকে খুব কম দূরত্বে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয়।   

এই বিমানবন্দরটির ‘ল্যান্ডিং স্ট্রিপ’টিও মাত্র ৭,১৫০ ফুট। অথচ একটি বড় বিমানের নিরাপদ অবতরণের জন্য কমপক্ষে ৮,০০০ ফুট এবং ভারী বিমানগুলোর ১০,০০০ ফুট রানওয়ে দরকার হয়। বিপজ্জনক হলেও পর্যটকদের কাছে প্রিন্সেস জুলিয়ানা বিমানবন্দর বেশ প্রিয়। রোমাঞ্চকর ভ্রমণ অভিজ্ঞতার জন্যই এখানে আসেন অনেকে। 

airportটনকন্টিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, হন্ডুরাস


বিজ্ঞাপন


বিপজ্জনক বিমানবন্দরের তালিকায় রয়েছে হন্ডুরাসের টেগুচিগালপায় অবস্থিত এই বিমানবন্দরটি। চারপাশে পাহাড় ঘেরা এই বিমানবন্দরে নিরাপদ অবতরণের একমাত্র উপায় হলো বিভিন্ন পর্বতের মাঝখান দিয়ে উড়ে আসা।

অবতরণের ক্ষেত্রে রয়েছে অনেক বাধা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩,২৯৪ ফুট বা ১,০০৪ মিটার ওপরে একটি উপত্যকার ওপর অবস্থিত টনকন্টিন বিমানবন্দর। ৭,০০০ ফুটের রানওয়েতে অবতরণের সময় প্রতিটি বিমানকে কিনারা দিয়ে ৪৫ ডিগ্রি কোণে বাঁক নিতে হয়। শুধু তাই নয়, পার্বত্য এলাকা হওয়ায় অবতরণের সময় হুট করেই উচ্চতা দ্রুত কমিয়ে এনে রানওয়ের সাথে বিমানটিকে মুখোমুখি করতে। যাত্রীদের জন্য এই অনুভূতি মোটেও সুখকর নয়। 

আর যদি আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকে অর্থাৎ বাতাস বেশি থাকে তবে অবতরণ প্রক্রিয়াটি হয়ে ওঠে আরও জটিল। যে কারণে অভিজ্ঞ পাইলটদের একদম শেষ মুহূর্তে এসেও অনেক জটিল সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

airportকাই টাক বিমানবন্দর, হংকং

অবতরণ এবং আরোহণ উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বিপজ্জনক বিমানবন্দর হিসেবে পরিচিত ছিল এটি। শক্তিশালী বায়ুর প্রবাহ আর চারপাশের পর্বতমালা বিমানবন্দরটিতে অবতরণের প্রক্রিয়ায় এনেছিল আরও জটিলতা। বিমানবন্দরটি থেকে আরোহণ ও অবতরণ করতে পাইলটদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা লাগত। যাত্রীরা অবশ্য আশাবাদী ছিলেন কাই টাক বিমানবন্দর নিয়ে। 

চারপাশে পানি আর মাঝখানে বিমানবন্দর হওয়ায় পাইলটদের জন্য এখানে বিমান চালানো কষ্টসাধ্য ছিল। বিমানবন্দরটি ‘দ্য মাদার অব অল স্ক্যায়ারি এয়ারপোর্টস’ নামে ভূষিত হয় একসময়। অত্যধিক প্রতিকূলতার কারণে ১৯৯৮ সালে বিমানবন্দরটির সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিপজ্জনক এই বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে কি জানা ছিল আপনার? 

তথ্যসূত্র: ভিভা.কো.ইন, রোর মিডিয়া 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর