একটু পরেই ফ্লাইট। ঘরে থেকে বের হবেন। অথচ টিকিট কিছুতে খুঁজে পাচ্ছেন না শীলা। পুরো ঘর তন্ন তন্ন করেও দেখা মিলল না টিকিটের। বাধ্য হয়েই ফ্লাইট ক্যান্সেল করতে হলো। শীলার মতো এমন সমস্যায় অনেকেই পড়েন। টিকিট ছাড়া বিমানে ভ্রমণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বেশিরভাগ বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি হারিয়ে যাওয়া টিকিটের জন্য রিফান্ড করে না। অর্থাৎ টাকা ফেরত দেয় না। তাই, কোনো কারণে টিকিট হারালে নতুন করে টিকিট কেটে বিমানে চড়তে হবে। এজন্য এখন অনেকে এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ই-টিকিটে ঝুঁকছেন।
বিজ্ঞাপন
গুরুত্বপূর্ণ বিধায় বিমানের টিকিট এমন স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত যেখান থেকে হারানোর সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু এরপরেও যদি হারিয়ে যায়? টিকিট হারিয়ে ফেললে কী করবেন, জানুন।
তাড়াহুড়া নয়
টিকিট হারিয়ে গেলে তাড়াহুড়া করা যাবে না। ধৈর্য্য ধরুন। নয়তো অন্য কোনো ভুল করে ফেলতে পারেন। স্থির হয়ে বসে মাথা ঠান্ডা করে চিন্তা করুন, টিকিট কোথায় রাখতে পারেন। সাম্ভাব্য স্থানগুলো আস্তেধীরে আরেকবার খুঁজে দেখুন।
এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ
বিজ্ঞাপন
টিকিটের কোনো ফটোকপি বা ছবি তোলা থাকলে সেটি কাজে লাগান। এক্ষেত্রে টিকিটের নম্বর জানা থাকলে সেটিও কাজে দেবে। যে এজেন্সি থেকে টিকিট কিনেছেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করুন।
থানায় জিডি
হারিয়ে যাওয়া টিকিট দিয়ে বিপদে পড়তে পারেন আপনি। তাই নিরাপদ থাকতে নিকটস্থ থানায় একটি জিডি করুন। অনেকে ভাবেন থানা-পুলিশ মানেই ঝামেলা। এই ধারণা একদমই ভুল। থানায় বিনামূল্যে এবং খুব সহজেই জিডি করা যায়। বর্তমানে অনলাইনেও জিডি করার সুযোগ রয়েছে।
টিকিটের মূল্য রিফান্ডের জন্য আবেদন
রিফান্ড করে এমন কোম্পানির সংখ্যা একদমই হাতে গোণা। যারা অর্থ ফেরত দেন না, তাদের সঙ্গে আপনি তর্ক করারও সুযোগ নেই। কারণ এটিই তাদের নিয়ম। তবে আপনি আবেদন করে রাখতে পারেন। অনেকসময় ৩০ দিন থেকে ১ বছর সময় পর রিফান্ড করা হয়।
টিকিট হারিয়ে গেলে এজেন্সি যদি আপনাকে রিপ্লসেমেন্ট টিকেট না দেয় অবশ্যই আপনাকে নতুন টিকেট কিনে ভ্রমণ করতে হবে। তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন। এমন জায়গায় টিকিট রাখুন যেন না হারায় এবং সহজে খুঁজে পান।
এনএম