শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

চেংদু জে-২০: চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান

এভিয়েশন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ০১:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

চেংদু জে-২০: চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান

দ্রুত স্থানান্তরিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিমান একটি উপযুক্ত যান। কেবল যাতায়াত নয় যুদ্ধের ক্ষেত্রেও বাহনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক যুগের যুদ্ধে বিমানবাহিনী অতি প্রয়োজনীয় একটি অংশ। দিন দিন তাই আবিষ্কার হচ্ছে অত্যন্ত ক্ষিপ্রগতির সব যুদ্ধবিমান।

সাধারণ বিমানের চেয়ে যুদ্ধবিমানের গতি অনেক বেশি হয়ে থাকে। প্রথমেই চলুন গতি নিয়ে জানা যাক। আমরা সাধারণত কিলোমিটার/ঘণ্টা অথবা মাইল/ঘণ্টা দিয়ে দ্রুতগতির যেকোনো হিসাব করে থাকি। বিমানের ক্ষেত্রে এই হিসাব করা হয় না। পাইলটরা নট স্কেলে এই পরিমাপ করে থাকেন। ১ নট = ১.৮৫ কিলোমিটার। কোনো মিসাইল/এয়ারক্রাফটের গতি শব্দের গতির ১ গুণের বেশি হলে একে ম্যাক ১ বা সুপারসনিক বলা হয়। 


বিজ্ঞাপন


j20পৃথিবীর দ্রুতগতির বিমানগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো চীনের চেংদু জে-২০। এটি একটি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। এই বিমানটি ‘মাইটি ড্রাগন’ ফাইটার জেট হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ ও এফ-৩৫ এর পর বিশ্বের তৃতীয় অপারেশনাল স্টেলথ যুদ্ধবিমান চেংদু জে-২০।

ঘণ্টায় ২,৪৭০ কি.মি. বেগে ছুটতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে জে-এক্সএক্স প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এই প্রোগ্রামেরই একটি অংশ চেংদু জে-২০। এটি চীনের চেংদু এরোস্পেস কর্পোরেশন, পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের জন্য নকশা করা হয়েছে। 

j20২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি জে-২০ তার প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করে। দুই জেট বিশিষ্ট বিমানটি রাডারকে ধোঁকা দিতে সক্ষম। তবে বিশাল আকারের এই বিমানটির রাডার ক্রস সেকশন বেশি দাবি করে এটি আদৌ কতটা স্টেলথ তা নিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা দ্বিধান্বিত। 

চীনের এই যুদ্ধবিমানটি ১১ টন অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। ডিজাইনের দিক থেকে এর সঙ্গে মার্কিন এফ-২২ এর মিল থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে ‘চাইনিজ র‍্যাপ্টর’ নামে কৌতুক করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


j20যুদ্ধবিমান হওয়ায় এবং বিধিনিষেধ থাকায় জে-২০ যুদ্ধবিমান সম্পর্কে খুব বেশি কারিগরি তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। চীন এর গতি ম্যাক ২.৫ দাবি করলেও পশ্চিমা এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা একে ম্যাক ২ গতির যুদ্ধবিমান বলে আখ্যায়িত করেছেন। কারণ বিমানটির দুটো ভ্যারিয়েন্ট দুই ধরনের ইঞ্জিন ব্যবহার করে। তৃতীয় আরেকটি ইঞ্জিন বানানোর কাজ চলমান রয়েছে। 

এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর