রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরির তাগিদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

শেয়ার করুন:

দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরির তাগিদ

সম্প্রতি মাইলস্টোন ট্রাজেডির পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে দ্বিতীয় রানওয়ের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সংশ্লিষ্টদের বাংলাদেশের আকাশসীমায় বেসামরিক ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও কার্যকর সমন্বয়ের তাগিদ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বনানীর শেরাটন হোটেলে এভিয়েশন দুর্ঘটনা এবং নাগরিক ঝুঁকি: বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রস্তুতির পুনঃমূল্যায়ন শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা এসব পরামর্শ দেন। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে এভিয়েশন খাতের পত্রিকা দ্য বাংলাদেশ মনিটর ও হোটেল শেরাটন ঢাকা। আলোচনা সঞ্চালনা ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দ্য বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম।


বিজ্ঞাপন


সামরিক ও বেসামরিক এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) মফিজুর রহমান বলেন, এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কী হবে, তা সুনির্দিষ্ট। দুঃখজনকভাবে সামরিক ও বেসামরিক উড়োজাহাজের সহযোগিতা কীভাবে হবে, তা নেই। শান্তির সময় বেসামরিক উড়োজাহাজ অগ্রাধিকার পাবে, আর যুদ্ধের সময় সামরিক। যদিও আমাদের অভ্যাস হলো, সামরিক বিমানগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের লম্বা লাইন হয়ে গিয়েছে।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এয়ার কমোডর (অব.) ইসফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের এখন চিন্তা করতে হবে শহরের বাইরে গিয়ে কোথায় আমরা ফ্লাইটের প্রশিক্ষণ দিতে পারি। সবকিছু আমাদের ভেবেচিন্তে পরিকল্পনামাফিকভাবে কাজ করতে হবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাবেক নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, সিভিল এভিয়েশনের নিয়ম অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনার পর ট্রাফিকের কারণে  অনেক কিছু করতে বেশ সময় লেগেছে। তারপরও সবাই সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকে।

এয়ার কমোডর এ কে এম জিয়াউল হক বলেন, সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে এমওইউয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে, আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন হবে। ফলে দুর্ঘটনা, ইমারজেন্সি অবস্থায় কার কী করতে হবে সেসব বিষয়ে ডিটেইল থাকবে। ফলে খুব সহজে সেসব পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ হবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, উঁচু উঁচু বিল্ডিং কীভাবে রাজউক অনুমোদন দিল? সিভিল এভিয়েশন এসব বিল্ডিংগুলোর বিষয়ে কিছুই করতে পারে না, তাদের রাজউকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়।  

ক্যাপ্টেন (অব.) সালাউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা কোনো দিন তাদের এই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারবে না। বিমানবন্দরের পাশে স্কুল কলেজ কোনোভাবেই গড়ে ওঠা ঠিক হয়নি, যারা অনুমোদন দিয়েছে তারাও ঠিক করেনি।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক সহকারী প্রধান এয়ার কমোডর (অব.) শফিকুল ইসলাম, সাবেক উইং কমান্ডার এটিএম নজরুল ইসলাম, এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, কর্নেল (অব.) মো. সোহেল রানা, ইউনিক হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

এমআইকে/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর