বিমানে বোমা থাকার ভুয়া হুমকি: কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

বেসামরিক বিমান চলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ইচ্ছাকৃত বা বেপরোয়াভাবে বিমান চলাচলে হুমকি সৃষ্টিকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

আরও পড়ুন: শাহজালালে বিমানে বোমা মেলেনি, ফ্লাইট ছাড়ার সিদ্ধান্ত

এর আগে শুক্রবার বিকেলে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে ফোন করে জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমানের বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটে বোমা রাখা হয়েছে। ফ্লাইটটিতে ১৪২ জন যাত্রী এবং সাতজন ক্রু ছিলেন।

এ ঘটনার পর বেবিচক’র নির্দেশ অনুসারে বিমান বাহিনীর টাস্ক ফোর্স ও এভসেক দ্রুত বিমানটির চারপাশে একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্থাপন করে। বিমান বাহিনীর বোমা নিস্ক্রিয়করণ দল, এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড এবং র‌্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট বিমান এবং লাগেজগুলোতে তল্লাশি চালায়।

এসময় যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে লাউঞ্জে রাখা হয় এবং অন্য ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক থাকে। সন্ধ্যা ৭টা ৫৮ মিনিটে তল্লাশি শেষ হয়। কিন্তু কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। রাত ৯টা ২২ মিনিটে বিমানটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা আতঙ্ক ছড়ানো হয় ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে!

এদিকে শনিবার (১২ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

তদন্তে জানা গেছে, ভুয়া ফোন করেছিলেন বিমানের এক যাত্রীর মা। তিনি তার ছেলেকে তার পরকীয়া সঙ্গীর সঙ্গে কাঠমান্ডু যেতে বাধা দিতেই এ ধরনের মিথ্যা হুমকি দেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, এ ধরনের কাজ দেশের ভাবমূর্তি ও জাতীয় বিমান সংস্থার সুনাম ক্ষুণ্ন করে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বরে তিনি জানান।

এএইচ