যেকোনো যানবাহনে ব্রেক থাকবেই। কেননা, আপদকালীন সময়ে কিংবা প্রয়োজনে এসব যান থামাতে ব্রেকের বিকল্প নেই। দুই চাকার বাইক হোক বা চার চাকার গাড়ি, ব্রেক ভালো কাজ না করলে গাড়ির অ্যাকসিডেন্ট করার সমূহ আশঙ্কা থেকে যায়।
এ তো গেল সাধারণ গাড়ির কথা, কিন্তু সেই গাড়ি যদি হয় জেট প্লেন তবে? এত দ্রুত গতি সম্পন্ন জেট প্লেনেও থাকে ব্রেক? এই প্রশ্নের উত্তর বেশিরভাগ জনেরই অজানা।
বিজ্ঞাপন
সাধারণ গাড়িতে ব্রেক কষলেই দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। কিন্তু যে দৈত্যাকার গাড়ি ঘন্টায় ৫০০ থেকে ৬০০ মাইল উড়ে যায়, তার ব্রেক কীভাবে কাজ করবে?
আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টারও কম সময়ে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে যাওয়া যাবে!
শুনলে আশ্চর্য মনে হলেও জেট প্লেনেও ব্রেক আছে এবং এই ব্রেকিং সিস্টেমটি খুবই বিশেষ এবং উচ্চ প্রযুক্তির প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে।
বিজ্ঞাপন
মাটিতে উচ্চ গতিতে চলার সময় এবং অবতরণের সময় জেট প্লেন থামাতে এই ব্রেকগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নেওয়া যাক জেট প্লেনের ব্রেকিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করে-
আরও পড়ুন: কোন সময় বিমানের টিকিট কাটলে সবচেয়ে কমে পাওয়া যায়?
চাকার ব্রেক: জেট প্লেনের ল্যান্ডিং গিয়ারের টায়ারে গাড়ির মতোই ডিস্ক ব্রেক থাকে, যা রানওয়েতে অবতরণ করার সময় বিমানটিকে থামাতে সাহায্য করে। এই ব্রেকগুলো প্রায়শই কার্বন-সিরামিক বা ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়, যাতে তারা উচ্চ গতিতে চলার সময় ভারী বিমান থামাতে পারে এবং উচ্চ তাপ সহ্য করতে পারে।
রিভর্স থ্রাস্টার: রিভার্স থ্রাস্ট জেট ইঞ্জিনের একটি বিশেষ প্রযুক্তি, যা জেট প্লেনকে দ্রুত গতি কমাতে সাহায্য করে। অবতরণের পরপরই, পাইলটরা ইঞ্জিনের থ্রাস্টারগুলোকে বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে দেয়, যাতে বাতাস বিমানটিকে পেছনে ঠেলতে পারে। এই প্রযুক্তি দ্রুত বিমানের গতি কমায় এবং রানওয়েতে ব্রেকের চাপ কমায়।
অ্যারোডিনামিক ব্রেক (স্পয়লার): প্লেনের ডানায় স্পয়লার থাকে, যেগুলো বাতাসের প্রবাহ বন্ধ করে জেট প্লেনের গতি কমিয়ে দেয়। এই স্পয়লারগুলো ল্যান্ডিংয়ের সময় ডানার ওপরে উঠে যায় এবং বায়ু প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা বিমানের গতি কমিয়ে দেয়। রানওয়েতে অবতরণের সময় অ্যারোডাইনামিক ব্রেকও ব্যবহার করা হয়, যাতে বিমান দ্রুত থামতে পারে।
অ্যান্টি-স্কিড (এবিএস) সিস্টেম: জেট প্লেনে একটি অ্যান্টি-স্কিড সিস্টেমও রয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টায়ারের ঘর্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে যাতে ব্রেক করার সময় টায়ার পিছলে না যায়। এই সিস্টেমটি গাড়িতে অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস) এর মতোই কাজ করে এবং অবতরণের সময় জেট প্লেনের স্থায়িত্ব বজায় রাখে।
হাইড্রোলিক সিস্টেম: জেট প্লেনের ব্রেকগুলো হাইড্রোলিক পাওয়ারে চলে। হাইড্রোলিক সিস্টেমের কারণে, পাইলটরা সামান্য জোর দিয়েও জেট প্লেনকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এজেড