বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় বিমানবাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যাত্রীদের আগমন ও প্রস্থানকালে বাড়তি নিরাপত্তা ও সহযোগিতা প্রদানের পাশাপাশি বিমানের নিরাপদ উড্ডয়ন ও অবতরণে বিমানবাহিনীর নিরাপত্তা দল সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) পরিদর্শনকালে বিমানবাহিনী প্রধানকে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
বিজ্ঞাপন
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বিমানবন্দরে বিমানবাহিনীর সদস্যদের পরিচালনা ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। প্রথমে তিনি স্বল্প সময়ে যাত্রীসেবা সহজীকরণের জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান, অন্যান্য সদস্য এবং হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বিভিন্ন বিমান বন্দর ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে পালন করে আসছে।
তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য লাগেজ দ্রুত পাওয়ার সুবিধা, দুর্নীতি এবং চোরাচালান রোধে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে বিমানবন্দরের সুনাম দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ধরে রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানে আইকাও এর নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে যাতে সেবার মান আরও বৃদ্ধি করা যায়। এছাড়া বিমানবাহিনী হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে যে ভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, তা দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রবাসীদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। পরিশেষে, তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে সকলকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
এসময় সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল রুসাদ দীন আছাদ ছাড়াও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বেবিচক এর সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা), সদস্য (প্রশাসন), সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড এন্ড রেগুলেশন্স), সদস্য (নিরাপত্তা), প্রধান প্রকৌশলী এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইকে/এমএইচটি